মিয়ানমারের নেপিদোতে রাশিয়া যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, তা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে জান্তা সরকার। জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ কিয়াও মোয়ে তুন এ শঙ্কার কথা বলেছেন। তবে এ নিয়ে আর বিস্তারিত জানাননি তিনি। সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।মিয়ানমারের বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকারের দূত উ কিয়াও মোয়ে তুন নিউইয়র্কে এক পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত সভায় বলেন, জান্তা সরকার ভূমিকম্প ত্রাণের চেয়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান ও কামান হামলা এবং পারমাণবিক উন্নয়নের দিকে বেশি মনোযোগী। সামরিক জান্তা ভূমিকম্পের মানবিক সাহায্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং আগামী দিনে পারমাণবিক প্রযুক্তিকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে।উ কিয়াও মোয়ে তুন বলেন, ভূমিকম্পের পর থেকে জান্তা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ২২৫টি বিমান হামলা চালানোর জন্য জেট জ্বালানির অপব্যবহার করেছে এবং তারা পারমাণবিক শক্তিরও একইভাবে অপব্যবহার করবে। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পর থেকে জান্তা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ২২৫টি বিমান হামলা চালানোর জন্য জেট জ্বালানির অপব্যবহার করেছে এবং তারা পারমাণবিক শক্তিরও অপব্যবহার করবে।মোয়ে তুন বলেছেন, জান্তা সরকার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে না বলে জানিয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, সরকার ২৮ মার্চের ভূমিকম্প মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ছিল না, একইভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজন হলে তার জন্যও প্রস্তুত থাকবে না।তুন বলেন, ‘আমাদের একটি গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে যে, জান্তা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের কথা বলে সামরিক প্রয়োগের জন্য পারমাণবিক প্রযুক্তি অর্জনের চেষ্টা করতে পারে।’
Post a Comment