অনেক মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে বা কোনো অপ্রাপ্তির কারণে নিজেকে শেষ করে দিতে চায়। ইসলামে এটিকে মহাপাপ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কেননা আত্মহত্যা মানে মহান আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ। আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, মৃত্যুও তিনিই দেবেন। যত দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়েই জীবন কাটুক আত্মহত্যার অধিকার আল্লাহ কাউকেই দেননি।
বিষয়ে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আত্মহত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯)
আল্লাহ্ আরও বলেন ‘আর তোমরা নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করো না, আর তোমরা সৎকর্ম করো। আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের কে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা,আয়াত: ১৯৫)
আল্লাহ বলেছেন, ‘বলো, হে আমার বান্দাগণ, তোমরা যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহের ব্যাপারে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মহত্যা করার ভয়াবহ শাস্তি উল্লেখ করে বলেন, যে ব্যক্তি পাহাড়ের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামে বিষ তার হাতে থাকবে, সে বিষ বারবার সে পান করতে থাকবে। আর কষ্ট পেতেই থাকবে। চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে, যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের মধ্যে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তার মাধ্যমে নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। (বুখারি: ৫৪৪২; নাসায়ি: ১৯৬৪)
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে (অনুরূপভাবে) নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নাম (অনুরূপভাবে) বর্শা বিঁধতে থাকবে। (বুখারি:
Post a Comment