আশপাশে চোখ মেলে তাকালে এখন অনেকেরই থাইরয়েডের সমস্যার কথা শোনা যায়। এ নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। রোগ নিরাময়ে নানা চেষ্টাও করেন। ফলে প্রতিদিন অনেক অনেক ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু শুধু ওষুধে কি কাজ হয়? থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে সঠিক খাবার গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।থাইরয়েডের সমস্যায় এমন সব খাবার খেতে হবে, যেসবে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় উপাদান রয়েছে। তবে এর আগে জানা জরুরি, থাইরয়েড সঠিকভাবে কাজ না করলে ক্লান্তি আসতে পারে। ওজনও বেড়ে যেতে পারে। ঠান্ডা লাগার সমস্যার পাশাপাশি চুল পড়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড দুই ধরণের―প্রথমত, হাইপো থাইরয়েডিজম ও দ্বিতীয় হাইপার থাইরয়েডিজম। এসবের চিকিৎসার জন্য ওষুধের প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার খেতে হয়।থাইরয়েড হচ্ছে ছোট প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি। এটি গলায় থাকে। এটিই শরীরে বিপাকক্রিয়া ও শক্তির মাত্রা থেকে শুরু করে হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে এ ব্যাপারে ফরিদাবাদের ক্লাউড ৯ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট ডা. শৈলী শর্মা কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেজাজ ও নারীদের ক্ষেত্রে মাসিকচক্রও থাইরয়েডই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তবে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের মাধ্যমে থাইরয়েড গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাহলে সেসব বিষয়ে এবার জেনে নেয়া যাক-সামুদ্রিক শৈবাল:
নোরি, কেল্প ও ওয়াকামের মতো সামুদ্রিক শৈবালে আয়োডিন থাকে। যা থাইরয়েড হরমোনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি পর্যাপ্ত পরিমাণ না পেলে হাইপোথাইরয়েডিজম বা গলগণ্ড রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার অতিরিক্ত আয়োডিন খাওয়াও বিপজ্জনক। এতে কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্রাজিল নাটস:
ব্রাজিল নাটস বা বাদামে সেলেনিয়াম রয়েছে। যা থাইরয়েড হরমোন সক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। থাইরয়েড গ্রন্থিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও রক্ষা করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন একটি বা দুটি করে ব্রাজিল বাদাম খেলে সেলেনিয়ামের চাহিদা পূরণ করা ডিম:
থাইরয়েডবান্ধব খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিম। আয়োডিন ও সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান রয়েছে ডিমে। পাশাপাশি উচ্চমানের প্রোটিনও রয়েছে। যা আপনার বিপাকক্রিয়ার উন্নতি করে থাকে। এ জন্য খাবারের তালিকায় ডিমের সাদা অংশের পাশাপাশি এর কুসুম থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় উপাদান শরীরে প্রবেশ করে।
দই ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য:
এ জাতীয় খাবার আয়োডিন ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে হাশিমোটোর থাইরয়েডাইটিসের মতো অটোইমিউন থাইরয়েড রোগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পরিমিত পরিমাণ দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া হলে থাইরয়েডের কার্যকারিতার প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঠিক পরিমাণ সরবরাহ সম্ভব হয়।
Post a Comment