বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যান্সার। অনেক সময় রোগটি দেরিতে শনাক্ত হওয়ার কারণে চিকিৎসা জটিল হয়ে পড়ে এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক নতুন রক্ত পরীক্ষা উদ্ভাবন করেছেন, যা ক্যান্সার হওয়ার তিন বছর আগেই ঝুঁকি শনাক্ত করতে সক্ষম।কীভাবে কাজ করে এই টেস্ট?
রক্তে উপস্থিত ক্ষুদ্র প্রোটিন ও জেনেটিক পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে এই পরীক্ষা ক্যান্সারের পূর্বাভাস দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস, পাকস্থলী, লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করতে এটি কার্যকর।
💡 কেন এটি বিপ্লবী আবিষ্কার?
ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়ে।
জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে এই টেস্ট করলে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের আলাদা করে শনাক্ত করা সহজ হবে।
👨⚕️ বিশেষজ্ঞদের মত
চিকিৎসকরা বলছেন, যদি এই ব্লাড টেস্ট বাস্তবে বড় পরিসরে কার্যকর হয়, তবে এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। তবে এর আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুমোদনগবেষকদের দাবি, এই ব্লাড টেস্ট শরীরের রক্তকণায় বিশেষ ধরনের বায়োমার্কার শনাক্ত করতে পারে। এসব বায়োমার্কার ক্যান্সারের প্রাথমিক ধাপে তৈরি হতে শুরু করে, যখন শরীরে দৃশ্যমান কোনো উপসর্গই থাকে না। ফলে রোগী আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
Post a Comment