জুমার নামাজ পড়তে না পারলে যা করবেন

 


হাদিসে জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে ক্ষতির কথা উল্লেখ আছে। জুমার নামাজ আদায় না করলে রয়েছে কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি। রসুলুল্লাহ (স.) বলেন, 


 

যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন। (বুখারি ১০৫২; তিরমিজি ৫০২, মুসলিম ১৯একটি হাদিসে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, 

 

যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)

 


তবে কিছু শ্রেণির লোক জুমার নামাজে উপস্থিত না হলে তারা দোষী নয়। হাদিসে বলা হয়েছে, 

 

চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ: ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবুকোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন দলিল থেকে বোঝা যায়, ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করা বড় কুফরি এবং ইসলাম নষ্টকারী কাজ। তাই জুমা ও প্রতিদিনের ফরজ নামাজ যথাসময়ে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য।

 

তবে কেউ যদি কোনো কারণে জুমার জামাতে উপস্থিত হতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে তিনি জোহরের নামাজ আদায় করবেন। কারণ জামাত ছাড়া একা একা জুমা নামাজ পড়া যায় না। জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য ইমাম ছাড়া ৩জন উপস্থিত থাকতে হহাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকআতের) রুকু না পায়, সে যেন জোহরের চার রাকাত পড়ে নেয়।’ (ইবনে আবী শাইবা, ত্বাবারানী, বায়হাকী, আলবানী: ৬২১)য়। দাউদ)৯৯)

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post