বিভিন্ন কারণে মুখের ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে। তবে ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণে মুখে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা আরও ব্যাপক বেড়ে যায়। ত্বকের তৈলাক্ত গ্রন্থি এবং চুলের ফলিকগুলোর কারণে অনেক ক্ষেত্রে ব্রণ হয়ে থাকে। ত্বকের গ্রন্থিগুলো অতিরিক্ত সিবাম তৈরি করে। আর এ কারণে ব্রণ বা ফুসকুড়ি হতে পারে। এছাড়া বায়ুদূষণ, কেমিক্যাল জাতীয় প্রসাধনীর ব্যবহারসহ যে-কোনো কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুখ, পিঠ, বুক ও কাঁধে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে মুখে এত বেশি ব্রণ হয় যে, এ কারণে মুখে দাগ ও গর্ত হয়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে মুখের বিভিন্ন স্থানে ব্রণ হতে পারে। যেমন-
চিবুক : যদি আপনার চিবুকের চারপাশে ব্রণ হয়ে থাকে, তা হলে বুঝতে হবে তা শরীরের হরমোন পরিবর্তনের কারণে হচ্ছে। অনেক নারীর ক্ষেত্রে মাসিক হওয়ার কয়েক দিন আগে মুখের চিবুকের অংশে ব্রণ হতে পারে। এ সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা দেহে হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
গাল : গালে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো বায়ুদূষণ। বায়ুদূষণের ফলে ত্বক যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন গালের চারপাশে ব্রণ উঠতে থাকে। গালের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। এ কারণে সহজেই তা বায়ুদূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এজন্য মুখে যাতে ধুলোবালি না লাগে, তার জন্য মাস্ক বা স্কার্ফ দিয়ে মুখ ঢেকে চলাফেরা করা উচিত। এছাড়া গালে ফুসকুড়ি বা ব্রণ হওয়ার আরও কারণ হতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ইত্যাদি।
কপাল : অনেকেরই কপালে ফুসকুড়ি ও ব্রণ হয়ে থাকে। যদি আপনার হজম ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ না করে, তবে কপালে ব্রণ হতে পারে।
এমনকি লিভারের সমস্যা, অনিদ্রা এবং দুশ্চিন্তার কারণেও হতে পারে। বেশি বেশি পানি পান করলে এ ধরনের ব্রণ কমে যেতে পারে।
নাক : নিয়মিত যদি আপনার নাকে ব্রণ হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের অসুখের কারণে নাকে ব্রণ হতে পারে। নিয়মিত পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মাধ্যমে নাকের ব্রণ কমতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো।
লেখক : চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং কনসালট্যান্ট
গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (রুম নম্বর : ৪৩২)
৩২ গ্রিনরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
হটলাইন : ০১৭১৫৬১৬২০০, ০১৭৩৩৭১৭৮৯৪
Post a Comment