নারীকে কুপিয়ে হত্যা

 

চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় নারীকে কুপিয়ে হত্যা

চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় নোয়াখালী সদর উপজেলার জালিয়াল গ্রামে তাসলিমা বেগম রোজি (৬০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নারী স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতার মা।

গ্রেপ্তার আসামি ওবায়দুল হক তারেকের বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। মঙ্গলবার বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন তিন। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে ওবায়দুল হক চুরি করতে যান তাসলিমা বেগম রোজির ঘরে। এ সময় ধরা পড়লে তাকে চিনে ফেলেন রোজি। ঘটনাটি জানাজানির ভয়ে হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে একা ঘরে রোজিকে কুপিয়ে ফেলে যান তারেক। ঘটনার পর তারেককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আজ ওবায়দুল হককে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমদাদুল ইসলাম। পরে আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।’

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার রাত ৯টার দিক বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামে তাসলিমা বেগম রোজির ঘরে চুরি করতে যান একই গ্রামের তারেক। এ সময় রোজি তাকে দেখে চিনে ফেলায় একা ঘরে রোজিকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে করে ফেলে যান তারেক। পরে শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন আশঙ্কাজন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় রোজিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে বিকেলে অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।’

নিহত তাসলিমা বেগম রোজি জালিয়াল গ্রামের ওবায়দুল হকের স্ত্রী। তাঁর ছেলে জিয়াউল হক ইনু নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। জালিয়াল গ্রামে বাপের বাড়িতে একা ঘরে থাকতেন ওই নারী। স্বজনরা জানিয়েছে, রোজির ঘরে এর আগেও চুরি হয়েছে।

নিহতের মরদেহ ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post