আইয়ুব খানের পর ফিল্ড মার্শাল হলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মুনির

 


পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল র‌্যাংক পেলেন দেশটির সেনাপ্রধান আসিম মুনির। এটি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ এবং একটি পাঁচ-তারা সম্মানসূচক ও যুদ্ধকালীন পদ হিসেবে বিবেচিত হয়।


বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার (২০ মে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।


এর আগে, পাকিস্তানের স্বৈরশাসন জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৯ সালে নিজেকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদন্নোতি দিয়েছিলেন।


আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। এই মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা জেরে দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর আসিম মুনিরকে এই পদোন্নতি দেওয়া হলো।


পাক সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় আজ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে অসাধারণ ভূমিকা রাখায় তাকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলেও পিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক হামলা পাল্টা হামলা থামলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি। পাক সেনাপ্রধান হুমকি দিয়ে বলেছেন পাকিস্তান শান্তি চায়। কিন্তু পাকিস্তানের সম্মান রক্ষার্থে তারা পাল্টা হামলা চালাতে কোনো দ্বিধা করবেন না।


অপরদিকে ভারত জানিয়েছে, তাদের অপারেশন সিঁদুর এখনো শেষ হয়নি। যদি তাদের উস্কানি দেওয়া হয় তাহলে পাকিস্তানে আবারও হামলা চালানো হবে।


পদোন্নতির পর সেনাপ্রধান আসিম মুনির এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই মর্যাদা শুধু আমার ব্যক্তিগত নয়, এটি পুরো জাতির ও পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সম্মান। আমি এটি উৎসর্গ করছি দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহীদ সৈনিক, বেসামরিক নাগরিক ও যুদ্ধাহতদের প্রতি।


তিনি আরও বলেন, এই পদমর্যাদা জাতির আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক, যেটির জন্য লাখ লাখ আসিম নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।


কে এই অসিম মুনির?


অসিম মুনির ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের ১১তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। ২০২৪ সালের নভেম্বরে তার মেয়াদ তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়।


গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে ভূমিকা


পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে মুনির দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পুলওয়ামায় বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ওই সময় তিনি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তখন তার ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল।



Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post