পশুর যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না

 


কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান পুরুষ মহিলার ওপর কুরবানি ওয়াজিব। এটি ইসলামের মৌলিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর যুগেই কুরবানি পালিত হয়েছে।


আল্লাহ তাআলা বলেন,


اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰکَ الۡکَوۡثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ اِنَّ شَانِئَکَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ

নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ। (সুরা কাওসার: ১-৩)


কোরবানি করার জন্য সুস্থ, সবল ও ত্রুটিমুক্ত পশু নির্বাচন করা আবশ্যক। বড় ধরনের ত্রুটি আছে এমন পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। নিজে হেঁটে জবাইয়ের জায়গায় যেতে পারে না এমন অসুস্থ, শুকনো বা দুর্বল পশু দিয়েও কোরবানি শুদ্ধ হয় না।


পশুর যেসব ত্রুটির কারণে কোরবানি শুদ্ধ হয় না:


১. অন্ধ হওয়া: একেবারেই দেখতে পায় না এমন পশু কোরবানি করা যাবে না।


২. পঙ্গু হওয়া: পঙ্গুত্বের কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম, এক বা একাধিক পা দিয়ে ঠিকভাবে হাঁটতে পারে না এমন পশু কোরবানি করা যাবে না।


৩. গুরুতর আঘাত: কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে বা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এমন পশু কোরবানি করা যাবে না।


৪. দাঁত না থাকা: সব দাঁত পড়ে গেছে বা এত অধিক পড়ে গেছে যে খাবার চিবিয়ে খেতে অক্ষম, এমন পশু কোরবানি করা যাবে না।


৫. শিং ভেঙে যাওয়া: যে পশুর শিঙ গোড়া থেকে ভেঙে গেছে এবং সে কারণে মস্তিস্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ওই পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। তবে শিং ভাঙ্গার কারণে মস্তিষ্কে যদি আঘাত না পৌঁছে, তাহলে ওই পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ। যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি, সে পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ।


৬. লেজ বা কান কাটা পড়া: লেজ বা কান অর্ধেক বা তার বেশি অংশ কাটা পড়েছে এমন পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। তবে যদি কোনো পশুর কান জন্মগতভাবে ছোট হয় তাতে অসুবিধা নেই।



Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post