শিশুসহ পাঁচজনকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিলো বিএসএফ

 


খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্তে নারী ও শিশুসহ পাঁচজন বাংলাদেশিকে নদীতে ফেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পুশ-ইন করা হয়।


বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর ৬টার দিকে ৪৩ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২১ মে) গভীর রাতে রামগড় পৌরসভার ফেনী কূলের কাজির চর এলাকা দিয়ে ১১৪ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ ওই পাঁচজনকে ফেনী নদী পার করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। 


আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—উমেদ আলী (৪২), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫) এবং তাদের তিন কন্যাসন্তান। 


উমেদ আলী জানান, তারা ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে তাদের ধরে এনে মারধর করা হয় এবং হাত-পা বেঁধে ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ।


তিনি বলেন, রাত ১২টার দিকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। আমাদের কোমরে খালি প্লাস্টিক বোতল বেঁধে দিয়েছিল, যাতে ডুবে না যাই। সারারাত নদীতে ভেসে ভোর ৫টার দিকে আমরা বাংলাদেশের কিনারায় পৌঁছাই।


উমেদ আলীর অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সাও ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে সোনাইপুল এলাকায় নিয়ে যান।


রামগড় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসমত জাহান তুহিন বলেন, মানবিক কারণে তাদের রামগড় উচ্চবিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে বিজিবি ও পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।


উল্লেখ্য, এর আগে ৬ মে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৮১ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইনকরে বিএসএফ।


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post