ভারতের হামলায় এক পরিবারের ১০ সদস্য নিহত

 


কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দুই সপ্তাহের মাথায় সামরিক সংঘাতে জড়িয়েছে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কয়েক জায়গায় হামলা চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী।


এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহতের সংখ্যা ৪৬ জনেরও বেশি।


নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানে বসবাসরত মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী।


পাকিস্তানভিত্তিক জয়শ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) পক্ষ থেকে বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে এ খবর দেওয়া হয়। মাওলানা মাসুদ আজহার সংগঠনটির প্রধান। জাতিসংঘ মাসুদ আজহারকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জামিয়া মসজিদ সুবহান আল্লাহ-তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। ওই হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তার (মাসুদ আজহারের) বড় বোন, বড় বোনের স্বামী, ভাতিজা, ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি এবং পরিবারের পাঁচ শিশুও রয়েছে।


জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।


গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এরপর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই ‍দুপক্ষের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (৬ মে) দিনগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।


হামলার পর নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের পক্ষে দুই ধরনের দাবি উঠেছে। ভারত বলছে, ৭০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের ভাষ্য, হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।


আবার পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩২ জন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post