Welcome to Our Website!

হত্যা মামলায় ফজলে করিম, নদভী-লতিফসহ ১০ জনকে শ্যোন অ্যারেস্ট

 


চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভী, এম এ লতিফসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  


বুধবার চট্টগ্রামের ৪র্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনের গ্রেপ্তার আবেদন করেন, যার মধ্যে ১০ জন আসামি শুনানিতে অংশ নেন।  


এ বি এম ফজলে করিমকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত করাশ্যোন অ্যারেস্ট মঞ্জুর হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাতকানিয়া-১৫ আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক এমপি এম.এ লতিফ, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্ল্যাহ বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, এমরান, জিনাত সোহানা চৌধুরী, মো. আকবর আলী, রেজাউল হাসান সবুজ ও মো. আবুল বশর।

গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল হাকিম উল্লেখ করেছেন, ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সাবেক সরকারদলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা আসামিরা মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে মিলে নাশকতা চালিয়েছে—এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ পাচ্ছেন তিনি।


তিনি আরও জানিয়েছেন, আসামিরা ঘটনার আগেও এবং ঘটনাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং অর্থায়নের মাধ্যমে এতে জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেচট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের আমলের এমপি ও নেতাকর্মীসহ মোট ১৫ জনের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, শুনানিতে ৯ জনকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে এবং একজনকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১০ জনের গ্রেপ্তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এরপর তাদের কঠোর নিরাপত্তায় আবার কারাগারে নেওয়া হয়েছে।


জানা গেছে, বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকার কাঁচা বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়ক অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলিবিদ্ধ হন শহিদুল ইসলাম। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ১৯ আগস্ট মামলাটি চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা হয়।ছে। হয়।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post