পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছি’, জীবনসঙ্গীর কাছে ক্ষমা চেয়ে দুনিয়া থেকে বিদায়!


 

বরগুনার পৌর এলাকায় মো. ওমর ফারুক নামে তিন সন্তানের জনকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত কয়েক মাস যাবত তিনি পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও মৃত্যুর আগে পরকীয়ায় আসক্ত হওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন এই ব্যক্তি।


নিহত ফারুক তিন সন্তানের জনক এবং পেশায় একজন টমটম (মশেনি যুক্ত ভ্যান) চালক ছিলেন।


আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ৯টায় বরগুনা পৌরসভার আমতলাপাড় নামক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান এরই মধ্যে গণমাধ্যমে কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেনিহতের স্ত্রী ময়না বেগম জানান, গত চার মাস যাবত অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে তার সঙ্গে কলহের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চেয়ে ওমর ফারুক আত্মহত্যা করছেন। তাদের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত ওমর ফারুকের সঙ্গে ২০১০ সালে ময়না বেগমের বিয়ে হয়। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ওমর ফারুক বরগুনা পৌরসভার আমতলাপাড় নামক এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। 


যদিও গত তিন-চার মাস আগে ওমর ফারুক অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এমনকি মারধরের শিকারও হন ময়না বেগঘটনায় কুরআন শরীফ ছুঁয়ে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আবারও ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখেন। গতকাল বুধবার আবারও ক্ষমা চেয়ে রাতে স্ত্রী সন্তান ঘুমিয়ে পড়লে ওমর ফারুক আত্মহত্যা করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।ময়না বেগম আরও বলেছেন, আমার স্বামী গত তিন-চার মাস ধরে অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায়। জানতে পেরে ওই নারীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তার আত্মীয়স্বজন মিলে আমাকে মারধর করে। পরে ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে বরগুনায় ফিরলে আমার স্বামী অনুতপ্ত হয়ে আমার কাছে ক্ষমা চায়। তখন সে আমার কাছে তার পরকীয়ায় জড়ানোর বিষয়টিও জানিয়ে ভুল স্বীকার করে।তিনি আরও বলেন, গতকাল দুপুর থেকেই আমার স্বামী বাসায় ছিল। রাতে ছোট মেয়েকে খাইয়ে মেয়ের সঙ্গেই আলাদা একটি রুমে ঘুমিয়ে পড়ি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় রাতে আমি কিছুই টের পাইনি। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আমার স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই।নিহত ওমর ফারুকের বড় মেয়ে ফারজানা বলেন, আমাকে আমার মা গতকাল রাতে ছোট ফুফুর বাড়িতে দিয়ে আসেন। ফুফুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় আমি সেখানে যাই। রাতে কি হয়েছে আমি কিছুই জানি না। সকালে মায়ের দেওয়া খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি বাবা আত্মহত্যা করেছেন।বিষয়টি নিয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর আমরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারবো।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post