ইরান থেকে ছোড়া সবশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ১৭ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
দেশটির জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাগেন ডেভিড অ্যাডমের (এমডিএ) বরাত দিয়ে শুক্রবার (২০ জুন) আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক তরুণ, ৫৪ বছর বয়সী এবং ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর। বাকি ১৪ জন সামান্য আহত হয়েছেন। তবে, আহত ব্যক্তিরা কোথায় আহত হয়েছে, অর্থাৎ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় আঘাত করেছে, তা প্রকাশ করেনি এমডিএ।
ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ইরানের সবশেষ হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এর আগে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয়েছে। সেগুলো প্রতিহত করার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ শুরু করেছে। বাসিন্দাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আলজাজিরা জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সারাদেশে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। জেরুজালেম, তেল আবিব এবং হাইফা শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইরানের হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ইহুদিবাদীরা। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত এখনও চলমান রয়েছে।
Post a Comment