জুলাই আন্দোলনের মাসের প্রথম দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি এনসিপি ও এর ছাত্র বা যুব সংগঠনের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা না রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত দুইটা চার মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানাস্ট্যাটাসে রাশেদ লিখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যশোর জেলার আহ্বায়ক পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি; এবং একই সাথে এনসিপি ও এর ছাত্র কিংবা যুব উইংয়ের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর রাশেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠার আগে যবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকে তিনি যশোর জেলা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার সংযত আচরণ ও ধীর-স্থির সিদ্ধান্ত সব মহলের প্রশংসা কুড়ায়। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যশোরে হাজার হাজার তরুণ যোগ দিলেও সমন্বয়কের কৌশলী পদক্ষেপে এখানে তেমন রক্তপাত হয়নি।আন্দোলন চলাকালে শিল্পী রাশেদ খান ফ্যাসিবাদবিরোধী অসংখ্য পোস্টার-ফেস্টুন নিজ হাতে তৈরি করেন। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে তার তত্ত্বাবধানে যশোর শহরের দেয়ালগুলোতে প্রচুর গ্রাফিতি আঁকা হয়।
মাঝরাতে তার পদত্যাগের ঘোষণায় সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আবার কেউ কেউ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন। রাশেদ খানের পদত্যাগে যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে সংগঠনটির কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলেছেন।ন।
Post a Comment