ইরানের স্বশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বাঘেরিসহ নিহত ৬

 


অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইসরায়েল যে অভিযান চালিয়েছে, সেটির উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রতিহত করা। এই অভিযানে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।


ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি যাদের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছে, তারা হলেন— ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি; ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস-এর প্রধান হোসেইন সালামি; খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার গোলাম আলী রাশিদ; পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেইদুন আব্বাসি; আরেক পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি যিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।


ইরানি প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সিনিয়র উপদেষ্টা আলী শামখানি গুরুতরভাবে আহত হয়েএদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত দুটি ধাপে এই হামলা হয়েছে। ৬টি স্থানে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।এর মধ্যে ইরানের রাজধানী তেহরান ও আশপাশের সামরিক স্থাপনাগুলো; তেহরানের দক্ষিণে নাতাঞ্জ শহর, যেখানে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত; তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহর, যেখানে একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে; তেহরানের দক্ষিণে ইসফাহান শহর; তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাক শহর এবং তেহরানের পশ্চিমে কেরমানশাহ শহর।ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিৃবতিতে সৌদি কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। খবর আলজাজিরার।



মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সৌদি আরব এই জঘন্য হামলার নিন্দা জানায়। এটি নিশ্চিত যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং নিরাপত্তা পরিষদের এই আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধ করার বড় দায়িত্ব রয়েইরানে পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পর সীমান্তে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে ইসরায়েল। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দখলদাররা সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রধান ইয়াল জামিরের বক্তব্যে যা স্পষ্ট।



আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রধান বলেছেন- হাজার হাজার সৈন্যকে সীমান্তে একত্রিত করা হচ্ছে। এক টেলিভিশন ভাষণে ইয়াল জামির বলেন, সমস্ত সীমান্ত জুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করবে তাকে চরম মূল্য দিতে হজামির বলেন, হে ইসরায়েলের জনগণ, আমি নিরঙ্কুশ সাফল্যের প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না। ইরানি সরকার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আমাদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করবে। আমাদের থেকে প্রত্যাশিত হামলা আরও ভয়াবহ হবে। আমরা আগে যা ব্যবহার করে হামলা করেছি এবার তার থেকে আলাদা কিছু করা হবে।



তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাস্তব এবং বর্তমান হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি অর্জনের জন্য সমস্ত শাখা এবং অধিদপ্তরে অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা রয়েছে।



ইরানের পক্ষ থেকেও পাল্টা হুমকি আসছে। ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফাজল শেখারচি।



আবুলফাজল শেখারচি বলেছেন, ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে। এই হামলার জবাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।বে।ছে।ছেন।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post