সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মা ও ছেলেসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার (৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেআহত চিকিৎসক নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা পরিবারসহ ঢাকায় থাকি। ঈদের আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন মিলে ভ্যানযোগে শাহজাদপুরে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলাম। ওই সময় একটি পিকআপভ্যান আমাদের ভ্যানকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে পিকআপ চালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি হয়।বিষয়টি স্থানীয় সাবেক মেম্বর তাৎক্ষনিক মীমাংসা করে দেন। এরপরও পিকআপে থাকা পাশের প্রাণনাথপুর গ্রামের ওই সব লোকজন আমাদের হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওই ঘটনার জেরে ঈদের দ্বিতীয় গতকাল রবিবার বিকেলে ৪০/৫০জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বসতঘরের বেড়া, দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং ট্যাংকে থাকা সোনার গহনা লুট করে।
বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে বেধড়ক মারপিটের পাশাপাশি ডান হাত ভেঙে দিয়েছে। এ ছাড়াও আমার বৃদ্ধা মা নাজমা আক্তারসহ আরো ৪/৫জনকে মারধর করেছেবিষয়টি তাৎক্ষনিক সেনা ক্যাম্পে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন জানিয়ে আহত চিকিৎসক নাহিদ হাসান আরো বলেন, ‘আজ সোমবার সকালে একই লোকজনরা আবারও হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তারা পালিয়ে যায়।’ এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।বিপদে পাশে থাকায় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এই চিকিৎসক।
শাহজাদপুর থানার ওসি বলেন, ‘বসতবাড়িতে হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।’।’ন।

Post a Comment