সিরাজগঞ্জের চৌহালীর মুরাদপুর এলাকার কাউলিয়ার চরে গরু চুরির সময় এক খামারিকে হত্যা ও তার নাতিকে বস্তাবন্দি করে পালিয়ে যাওয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় একটি ষাড় গরু উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২১ জুন) রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান এবং জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো. একরামুল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়। এসআই শারফুল ইসলাম ও এসআই নাজমুল হকসহ টিমের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ডাকাত চক্রের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালান। এরপর সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের মো. ইউসুফ আলী (২৮) ও মো. আ. মালেক (২৮), টাঙ্গাইল জেলার মো. শাহ আলম (৪০), মো. হাসান মন্ডল (২৫), মো. আমির হোসেন (৪৫), মো. শাহিদ ওরফে সাঈদ (৪১) এবং মো. ইসমাইল ব্যাপারী (৫৩)। তাদের কাছ থেকে একটি ষাড় গরু উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতি করেন। ঘটনার দিন রাতে দুটি নৌকায় ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য নিয়ে তারা চরে যান। সেখানে পৌঁছে ১১ থেকে ১২ জন সদস্য ছাপড়ায় প্রবেশ করে ঘুমন্ত তারা মিয়া ও তার নাতিকে বেঁধে ফেলেন। পরে ৩টি গরু নিয়ে পালিয়ে যান এবং সেগুলো পুংলী ঘাটে বিক্রি করে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় করেন। ডাকাত দলের সদস্যরা পরবর্তীতে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে ভাগ করে নেন। গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের এই সফল অভিযান এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. একরামুল হোসাইন বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়ে আসছিলাম। অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
Post a Comment