ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরখান থানায় কর্মরত এসআই জাহিদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঈদুল আজহার ছুটিতে নেত্রকোনার আটপাড়ার বাড়িতে এসে এক ছাত্রদল নেতাকে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার শুনই ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে এসআই জাহিদুল বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
ভুক্তভোগী ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা শাকিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় গণ-অভ্যুত্থানের সময় আহত হন এবং সরকার ঘোষিত ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত এসআই জাহিদুল হাসান রিয়াদ উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাকিলের ছোট ভাই মনির বাজারে গেলে সেখানে এসআই জাহিদের ছোট ভাই তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনা জানার পর শাকিল বাজারে গিয়ে তার ভাইকে মারধরের কারণ জানতে চান। তখন এসআই জাহিদুল ও তার তিন ভাই রতন, হৃদয় ও হিমেল ছাত্রদল নেতা শাকিল এবং তার চাচা মোস্তাকিমকে (৪৫) মারধর করেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, হামলার সময় এসআই জাহিদ কাঠের লাঠি দিয়ে শাকিলের মাথায় আঘাত করেন। এতে শাকিল গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় শাকিল ও তার চাচাকে প্রথমে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে শাকিলকে প্রধমে পাঠানো হয় নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে আহত ছাত্রদল নেতা শাকিল বলেন, আমি আমার ছোট ভাইকে মারার কারণ জানতে গেলে এসআই জাহিদুল ও তার ভাইয়েরা আমাকে বলে অনেক বড় নেতা হয়ে গেছিস, এখন তোর কোন বাপে তোরে বাঁচায় দেখব- এটা বলে আমার ও আমার চাচাকে মারধর করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই জাহিদুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ভিত্তিহীন। আমি কাউকে মারধর করিনি। ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে।
বিষয়ে জানতে চাইলে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি
Post a Comment