বগুড়ার শেরপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে বিয়ের ঘটককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই ঘটকের নাম মো. মজিবর শেখ (তার বাড়ি একই উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মজিবর শেখ সূত্রাপুরের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (২১) ও শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন। গত ৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
কিন্তু বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই নবদম্পতির মধ্যে বনিবনার সমস্যা দেখা দেএ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন কনের পরিবার। ঘটনার দিন মজিবর শেখকে ‘উপহার হিসেবে একটি লুঙ্গি দেওয়া হবে’—এই কথা বলে জহুরুল ইসলামের বাড়িতে তাকে ডেকে আনা হয়। এরপর মুজিবরকে মারধর করা হয়।
মজিবর শেখ অভিযোগ করে জানান, তাকে রাস্তা থেকে ডেকে এনে প্রথমে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়এরপর একটি গাছের সঙ্গে তার হাত বেঁধে গরুর গোবর মাখানো স্যান্ডেল ও লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে হাত, পা ও মাথায় নির্মমভাবে প্রহার করা হয়। টানা এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নির্যাতনের পর ছোট ভাই নজরুল শেখ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
এরপর প্রথমে তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ১৭ জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসকেরা জানান, তার শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছেঘটনায় মজিবর শেখের ছোট ভাই নজরুল শেখ বাদী হয়ে জহুরুল ইসলামসহ চারজনের নামে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমাদের মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন খারাপ আচরণ শুরু করে। অথচ ঘটক মজিবর শেখ আমাদের বলেছিলেন ছেলের পরিবার ভালো। এই প্রতারণার কারণে রাগের বসে একটু শাসন করা হয়েছে।’
তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন জানান, অভিযোগটির তদন্ত চলছে। তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।।য়।৬৪)।
Post a Comment