প্রধান উপদেষ্টা ও দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ

 


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা ও তার সুনাম নষ্ট করার জন্য ‘পরিকল্পিত প্রচারণা’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন। ড. ইউনূস ও দুদক বরাবর টিউলিপের পাঠানো একটি উকিল নোটিশে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কাইনিউজ।


নোটিশে টিউলিপ বলেছেন, ‘তার সুনাম ক্ষুণ্ন করাই ড. ইউনূস ও দুদকের প্রধান উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা, বিশেষ করে টিউলিপের নিজ নির্বাচনী এলাকা, তার রাজনৈতিক দল এবং দেশসেবার কাজে বিঘ্ন ঘটাতে তারা এসব অভিযোগ তুলেছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।



যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপির মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন টিউলিপ। নোটিশে তার দেওয়া আগের কোনো চিঠির জবাব না পাওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করা হয়েছে।


উকিল নোটিশে টিউলিপ বলেন, গত ১৮ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের চিঠি পাঠানো হয়। এরপর ৪ জুন একটি চিঠি পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে।



নোটিশে আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড বলছে, ‘এখনো আমরা কিংবা টিউলিপ সিদ্দিক কোনো চিঠির জবাব পাইনি। আমরা চিঠিতে স্পষ্ট বলেছি, টিউলিপ সিদ্দিক একটি পরিকল্পিত অভিযানের শিকার, যার নেপথ্যে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক। আমাদের চিঠিপত্রে এটা দেখিয়েছি, কেন টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগ অসত্য।’


উকিল নোটিশে ইউনূসের সাক্ষাৎ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘ইউনূসের লন্ডন সফরের কথা শুনে টিউলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্যোগ নেন।


তিনি দুদকের অভিযোগের বিষয়ে ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা দুঃখজনকভাবে টিউলিপের সেই প্রস্তাবটি গ্রহণে ব্যর্থ হন।’

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিউলিপের সঙ্গে দেখা না করার যে কারণ ইউনূস তুলে ধরেছেন, তার সমালোচনাও করেছে স্টেফেনসন হারউড। নোটিশে বলা হয়, ‘বিবিসি রেডিওর সাক্ষাৎকারে ইউনূসের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে দুটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। প্রথমত, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে তিনি হতাশ কি না।



দ্বিতীয়ত, টিউলিপের সঙ্গে তিনি কেন সাক্ষাৎ করেননি।’

এতে আরো বলা হয়, ‘এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অবাক করার মতো অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন যে এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া এবং তিনি সেটিতে হস্তক্ষেপ করতে চান না।’


নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল, যুক্তরাজ্যের নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে প্রধান উপদেষ্টা সঠিকভাবে তথ্য যাচাই করবেন। তার এটাও মাথায় রাখা উচিত ছিল, দুদকের পক্ষ থেকে যখন তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তখন টিউলিপকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করাটা সমীচীন নয়।’


স্টেফেনসন হারউড মনে করে, টিউলিপের সঙ্গে বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলো মিথ্যা।


স্টেফেনসন হারউড বলছে, টিউলিপের সঙ্গে বসে এসব মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ পেয়েছিলেন ইউনূস। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ গ্রহণ না করে দুদকের আড়ালে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন, যা আমাদের কোছে টিউলিপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের দ্বিতীয় কারণ বলে মনে হয়েছে।


দুদক চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এ নোটিশের একটি অনুলিপি প্রধান উপদেষ্টাকেও পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে। নোটিশে টিউলিপ বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের এসব মিথ্যা প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’


স্টেফেনসন হারউড বলছে, দয়া করে এখন এটা নিশ্চিত করুন, যে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, যদি এই চিঠি এবং আমাদের আগের চিঠিগুলোর যথাযথ জবাব ৩০ জুনের মধ্যে না দেন, তবে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তিসঙ্গতভাবেই বিষয়টির ইতি ঘটেছে বলে ধরে নেবেন।



সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।


এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে আজ সোমবার (২৩ জুন) হানিফ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চলানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। 


গতকাল রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে তার উত্তরার বাসা থেকে ধরে নিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ভিডিও করার পর পুলিশে দেওয়া হয়।



পরে সেখান থেকে সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডিবি হেফাজতে।

এরপরই সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে জুতার মালা পরিয়ে ও ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায় একদল ব্যক্তিকে।





বাংলাদেশে পানি, জ্বালানি, পরিবহন, স্বাস্থ্য খাতসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে এক বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। 


বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, তারা এই অর্থায়ন দ্বিগুণ করারও পরিকল্পনা করছে। 


ইইউ প্রতিনিধিদল এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) যৌথ উদ্যোগে গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের কয়েকটি বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 


ইইউ সোমবার (২৩ জুন) তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদল পানি, জ্বালানি, পরিবহন ও স্বাস্থ্য খাতে ১ বিলিয়ন ইউরোর চলমান বিনিয়োগ এবং ভবিষ্যতে অর্থায়ন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক আয়োজন করার পাশাপাশি ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংককে স্বাগত জানিয়েছে।



 

বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সুবিধার অধীনে ওয়ার্কিং রিভিউ গ্রুপের প্রথম সভাটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এতে বিদ্যুৎ বিভাগ, টিম ইউরোপ, ইআইবি এবং জনসেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়েছিলেন।


এসব আলোচনায় টিম ইউরোপের সহযোগিতা কাঠামোর অধীনে চলমান প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতের বিনিয়োগ কৌশল গঠনের উপর আলোকপাত করা হয়েছিল।


বৈঠকে ইআইবি থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ইইউ গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ এবং ইইউ থেকে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর সম্পূরক অনুদানের আওতায় অর্থায়নের জন্য নির্দিষ্ট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।



এই তহবিলগুলো সারা দেশে সৌর এবং বায়ু শক্তি উদ্যোগে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।



ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ।


সোমবার (২৩ জুন) কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তর ‘নবান্ন’ ভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। 


কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অত্যন্ত উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।’


সাক্ষাৎকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক ও দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরো গভীর ও জোরদার করার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের এ সাক্ষাৎ ছিল দেশটির কোনো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ।


এর আগে গত ২৯ মে হাইকমিশনার ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।


সাক্ষাৎকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধভিত্তিক যে গভীর বন্ধন রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের গণ্ডি অতিক্রম করে।’


তিনি আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের সঙ্গে অব্যাহত সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।



আগামী ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে চাকরিরতদের জন্য ন্যূনতম এক হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিট পেনশন ১৭ হাজার ৩৮৮ টাকার ঊর্ধ্বে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং তদনিম্নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।


সোমবার (২৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


অর্থ বিভাগ অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্বশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনাররাসহ পেনশনভোগী ব্যক্তিদের জন্য ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান সংক্রান্ত অর্থ বিভাগের ৩ জুন ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করেছে সরকার।


 

সংশোধনগুলো হলো : প্রজ্ঞাপনের প্রথম অনুচ্ছেদের এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এক হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ (পাঁচ শত) টাকা হারে প্রদেয় হবে। এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এক হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫০ (সাত শত পঞ্চাশ) টাকা প্রদেয় হবে।


এ ছাড়া পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীরাসহ সরকার হতে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে যেসব পেনশনারের প্রাপ্য মাসিক পেনশনের পরিমাণ ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা ও তারও বেশি, তারা ১০ শতাংশ হারে এবং যেসব পেনশনারের প্রাপ্য মাসিক পেনশন ১৭,৩৮৮/- টাকা ও তার কম, তারা ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।


এর আগে গত ৩ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামী ১ জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন।


প্রথম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা প্রতি বছর তাদের মূল বেতনের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ পাবেন এবং দশম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ। কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন প্রদেয় পরিমাণ হবে এক হাজার টাকা। পেনশনভোগীদের জন্য ৫০০ টাকা। অর্থাৎ এখন চাকরিরতদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ২৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরো জানানো হয়, অবসর-উত্তর ছুটিতে থাকা (পিআরএল), বরখাস্তকৃত কর্মচারী (তাদের শেষ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ) ও কিছু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন বা যাদের পেনশনের সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক নিয়েছেন, তারা এ সুবিধার আওতায় আসবেন না। রাজস্ব বাজেটের বাইরে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এ সুবিধার খরচ তাদের নিজস্ব বাজেট থেকেই বহন করতে হবে।



 ১৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপির মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন টিউলিপ। নোটিশে তার দেওয়া আগের কোনো চিঠির জবাব না পাওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করা হয়েছে।


উকিল নোটিশে টিউলিপ বলেন, গত ১৮ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের চিঠি পাঠানো হয়। এরপর ৪ জুন একটি চিঠি পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকেনোটিশে আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড বলছে, ‘এখনো আমরা কিংবা টিউলিপ সিদ্দিক কোনো চিঠির জবাব পাইনি। আমরা চিঠিতে স্পষ্ট বলেছি, টিউলিপ সিদ্দিক একটি পরিকল্পিত অভিযানের শিকার, যার নেপথ্যে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক। আমাদের চিঠিপত্রে এটা দেখিয়েছি, কেন টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগ অসত্য।’


উকিল নোটিশে ইউনূসের সাক্ষাৎ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘ইউনূসের লন্ডন সফরের কথা শুনে টিউলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্যোগ নেতিনি দুদকের অভিযোগের বিষয়ে ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা দুঃখজনকভাবে টিউলিপের সেই প্রস্তাবটি গ্রহণে ব্যর্থ হন।’

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিউলিপের সঙ্গে দেখা না করার যে কারণ ইউনূস তুলে ধরেছেন, তার সমালোচনাও করেছে স্টেফেনসন হারউড। নোটিশে বলা হয়, ‘বিবিসি রেডিওর সাক্ষাৎকারে ইউনূসের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে দুটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। প্রথমত, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে তিনি হতাশ কি নাদ্বিতীয়ত, টিউলিপের সঙ্গে তিনি কেন সাক্ষাৎ করেননি।’

এতে আরো বলা হয়, ‘এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অবাক করার মতো অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন যে এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া এবং তিনি সেটিতে হস্তক্ষেপ করতে চান না।’


নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল, যুক্তরাজ্যের নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে প্রধান উপদেষ্টা সঠিকভাবে তথ্য যাচাই করবেন। তার এটাও মাথায় রাখা উচিত ছিল, দুদকের পক্ষ থেকে যখন তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তখন টিউলিপকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করাটা সমীচীন নয়।’


স্টেফেনসন হারউড মনে করে, টিউলিপের সঙ্গে বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলো মিথ্যা।


স্টেফেনসন হারউড বলছে, টিউলিপের সঙ্গে বসে এসব মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ পেয়েছিলেন ইউনূস। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ গ্রহণ না করে দুদকের আড়ালে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন, যা আমাদের কোছে টিউলিপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের দ্বিতীয় কারণ বলে মনে হয়েছে।


দুদক চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এ নোটিশের একটি অনুলিপি প্রধান উপদেষ্টাকেও পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে। নোটিশে টিউলিপ বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের এসব মিথ্যা প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’


স্টেফেনসন হারউড বলছে, দয়া করে এখন এটা নিশ্চিত করুন, যে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, যদি এই চিঠি এবং আমাদের আগের চিঠিগুলোর যথাযথ জবাব ৩০ জুনের মধ্যে না দেন, তবে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তিসঙ্গতভাবেই বিষয়টির ইতি ঘটেছে বলে ধরে নেবেন।।ন।। |সোশ্যাল মিডিয়া


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post