রংপুর নগরীর সরেয়ারতল এলাকায় যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ জুন) নিহত গৃহবধূর বাবা রেজাউল করিম বাদী হয়ে মাহিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঈদের পরদিন দুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত বেঁধে গৃহবধূ রেজোয়ানা দিল আফরোজের গায়ে আগুন দেন তার স্বামী আব্দুল করিম। এ সময় রেজওয়ানার বাবা রেজাউল করিম তার বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন।
তাদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে যৌতুকের ৬ লাখ টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন স্বামী আব্দুল নিহতের বাবা রেজাউল করিম জানান, ঈদের দিন রাতে তিনি মেয়ের বাড়িতে কোরবানির মাংস নিয়ে যান। পরদিন দুপুরের খাবার খেয়ে রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তার মেয়ে, মেয়ের জামাই ও তার মা খেতে বসছিলেন।তিনি শুনতে পান তার মেয়ে বলছিলেন, ‘আমার খেতে বসেও শান্তি নাই।’ পরে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই সেখানে নেই। একটু পর তিনি আবার শুনতে পান তার মেয়ে ঘরের ভেতর থেকে চিৎকার করে বলছে, ‘আমাকে বাঁচাও।’ এ সময় তিনি ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করলে দেখেন দরজাটি ভেতর থেকে লক করা।
পরে ব্যালকনিতে গিয়ে গিয়ে দেখেন তার মেয়ের শরীরে আগুন জ্বলছে। পরে স্থানীয়রা এসে ব্যালকনির বাইরে থেকে পানি ঢেলে আগুন নেভায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানপরে ব্যালকনিতে গিয়ে গিয়ে দেখেন তার মেয়ের শরীরে আগুন জ্বলছে। পরে স্থানীয়রা এসে ব্যালকনির বাইরে থেকে পানি ঢেলে আগুন নেভায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান।
রেজাউল করিম আরো বলেন, ঢাকা মেডিক্যালে ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার ভোরে তার মেয়ে মারা যান। পরে অ্যাম্বুল্যান্সযোগে মরদেহ নিয়ে আসার সময় পুলিশ তাদের নগরীর মাহীগঞ্জ থানায় ডাকেসময় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তার মেয়ের জামাই আব্দুল করিম, বোন পারভীন ও দুলাভাই ফখরুল তাদের সঙ্গে ছিলেন।
থানায় পৌঁছালে আধাঘণ্টা পর পুলিশ পারভীন ও তার স্বামী ফখরুলকে ছেড়ে দেয়। পরে তারা থানার গেটে আসলে তাদের আবারও আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলার এজাহার দেওয়া হলেও পুলিশ মামলা নিতে প্রথমে গড়িমসি করেন।
নিহতের চাচা মুকুল মিয়া জানান, ভাতিজি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় তিনি থানায় আসেন। এ সময় থানায় ওসিকে না পেয়ে তাকে মুঠোফোনে মামলা করার কথা জানান। কিন্তু ওসি তাকে বলেন, তার ভাতিজি আত্মহত্যা করেছেন। এ মামলা নেওয়া যাবে না। তারা যেন আদালতে গিয়ে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মরদেহ নিয়ে থানায় এসে এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নিতে রাজি হয়নি। রেজোয়ানা আত্মহত্যা করেছে জানিয়ে আদালতে মামলা দেওয়ার পরামর্শ দেন থানার ওসি।
মামলা নিতে না চাওয়ার বিষয়ে মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এজাহারে কিছু ভুল থাকায় মামলা গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে।’।।করিম।
Post a Comment