লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসারকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে খুন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চল পরিচালক মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৬ জুন এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসারকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে খুন করেছে এবং এই মর্মান্তিক সন্ত্রাসী ঘটনায় তার পরিবারের আরও ৩/৪ জন গুরুতর আহতভাবে আহত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমি এই সন্ত্রাসী ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখা ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের মমিন উল্লাহ মাস্টারের বাড়িতে ৫ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১১:০০টায় অত্র গ্রামের স্থানীয় সন্ত্রাসী কামাল মেম্বার, বাবুল, রনি, রকি, সুমন, রিয়াজের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী চক্রের হামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা ইউনিট সভাপতি এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার (৫৫) নিহত হয়েছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং দোয়া করছি আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রিয় ভাইকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন। তার পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য মহান রবের নিকট দোয়া করছি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিদায় হওয়ার পরও দেশবাসী যখন ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন নতুন করে কোনো ব্যক্তি বা দল ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করুক এটা জনগণের প্রত্যাশা নয়। আইন সবার জন্য সমান। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। তাই আমরা আশা করবো অপরাধীদের ব্যাপারে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলো সন্ত্রাসী ও খুনিদের বিচার নিশ্চিতে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
অবিলম্বে জামায়াত নেতা ও মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসারের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।”
Post a Comment