ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার

 


গাইবান্ধার সাঘাটায় পরীক্ষার ফি না দিতে পারায় তিন পরীক্ষার্থীকে মারধর করে পরীক্ষার রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার সুপার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।


স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী দাখিল মাদরাসায় ক্লাস পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার ফি না দিতে পারায় ৭ম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ সরকার, ছাত্রী মারিয়ম আক্তার মৌ ও সাদিয়া আক্তারকে বের করে দেয় মাদরাসার সুপার জসিম উদ্দিন।


এ বিষয়ে মাদরাসার ছাত্র জাহিদ সরকার জানান, সুপার হুজুরকে ৩০০ টাকা দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার অনুরোধ করেওনি আমাকে থাপ্পড় মেরে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছে। আমাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি।

ছাত্রী মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বাবা মমিন সরকার বলেন, আমার মেয়েকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রুম থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাইআমরা তো গ্রামের মানুষ, সব সময় তো হাতে টাকা থাকে না। পরীক্ষার ফি তো দুই-তিনদিন পরেই দিতাম।

ছাত্রকে থাপ্পড় দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মাদরাসার সুপার জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এই ছাত্রটি দুষ্টু তাই থাপ্পড় মেরেছি।


আমি শিক্ষক হিসেবে তাকে মারতেই পারি।

এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান হাবীর বলেন, পরীক্ষা ফি দিতে দেরী হওয়ার জন্য ছাত্রকে মারধর করাটা অন্যায়। আগামীকাল উপজেলা মাসিক মিটিং আছে, সেখানে উপস্থাপন করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই, তবে খোঁজ নিচ্ছি।।ছি।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post