থানা ঘেরাও করে চাঁদাবাজদের ছিনিয়ে নিলো বিএনপি কর্মীরা


 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা ঘেরাও করে চাঁদাবাজদের ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপির কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত আট পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


জানা যায়, লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল বুধবার (২ জুলাই) দুই যুবককে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়পাটগ্রাম থানায় হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: আমার দেশ

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান, অভিযুক্ত দুই যুবক বেলাল ও সোহেলকে পাটগ্রামের সরে অ-বাজার এলাকা থেকে বুধবার রাতে ১ লাখেরও বেশি টাকার রিসিভ মানিসহ আটক করা হয়। এরপর তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়পাটগ্রাম থানায় হামলায় ৮ পুলিশ সদস্য আহত, বিজিবি মোতায়েনপাটগ্রাম থানায় হামলায় ৮ পুলিশ সদস্য আহত, বিজিবি মোতায়েন

এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তারা ইউএনও ও থানা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।


একটি সূত্র বলছে, পাটগ্রাম থানায় এই দুইজনকে নিয়ে যাওয়ার খবরে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ও কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। গ্রেপ্তারের ঘটনায় অস্থিরতা সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় বিএনপি নেতা চপলসহ বিএনপির ১৪-১৫ জনের মতো আহত হন বলে দাবি করেন তাআরেকটি সূত্রে জানা যায়, পাথর কোয়ারিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়ে আসছিল। ট্রাক প্রতি ৫০০-১০০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ ট্রাকে এমন চাঁদাবাজি হয়।


সূত্র আরও জানায়, বুধবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লিখিত দুই যুবককে সাজা দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় ঢুকে হামলা চালায় এবং দুই যুবককে ছিনিয়ে নেয়। এতে অন্তত ৮ জন পুলিশ আহত হন। এ সময় থানায় ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়।


পাটগ্রাম থানায় হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: আমার দেশ

জানা গেছে, এ ঘটনার পেছন থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post