যেসব খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়

 


রেফ্রিজারেটর আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটি প্রযুক্তি পণ্য। খাবারকে কয়েক দিন এমনকি বহুদিন পর্যন্ত ভালো রাখতে ফ্রিজের বিকল্প নেই। তবে কিছু খাদ্যদ্রব্য রয়েছে যা রেফ্রিজারেটরে রাখাটা মোটেও নিরাপদ নয়। এতে শুধু ওই খাদ্যদ্রব্যের স্বাদই পরিবর্তিত হয় না, বরং তা স্বাস্থ্যের জন্যেও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কাজেই ৭টি খাদ্যপণ্যের কথা জানুন যেগুলো ফ্রিজে রেখে খাওয়া উচিত নয়।


১. আলু


ফ্রিজে রেখে খাওয়ার অযোগ্য খাবারের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে আলু। এতে আলুর স্বাদ যথেষ্ট বদলায়, রীতিমতো নষ্ট হয়ে যায়। হিমাগারে রাখা হলে আলুর স্টার্চ চিনিতে পরিণত হয়।


এতে রান্না করা হলে আলুর স্বাদ বাজেভাবে মিষ্টি হয়ে যায়। এ ছাড়া আলুর চেহারা কালো হয়ে যায় এবং তরকারিতে তা বিদঘুটে দেখায়। আলু সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো পরিবেশ হলো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অন্ধকার স্থানে রাখা। আর এই উপায়ে এক থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আলু ভালো থাকে।


২. টমেটো


টমেটো আরেকটি সবজি যা ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে হয়। ফ্রিজে রাখলে টমেটোর দেয়ালের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে টমেটো নরম হয়ে যায়। টমেটোকে টাটকা রাখতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় টমেটো রাখতে হয়। কাঁচা টমেটো থাকলে তা পাকাতে না চাইলে রোদ থেকে দূরে রাখতে হবে।


এর দেহত্বকে দাগ না ফেলতে চাইলে এর বোঁটা ওপরের দিকে রাখুন।


৩. পেঁয়াজ


আপনি কী ফ্রিজে পেঁয়াজ রেখে অন্যান্য খাবারের স্বাদও পেঁয়াজের মতো করে ফেলতে চান? শুধু এ কারণেই পেঁয়াজ ফ্রিজের মধ্যে রাখা উচিত নয়। অন্য কারণগুলো হলো, ফ্রিজে রাখলে পেঁয়াজ নরম হয়ে যাবে। সালাদে পেঁয়াজ দিতে হলে টাটকা পেঁয়াজই দিতে হবে। পেঁয়াজ শুকনো স্থানে রাখুন। এতে বহুদিন ভালো থাকবে।


৪. কলা


ফ্রিজে কলা রাখা যায় না। এতে কলার টকটকে ত্বকে কালশিরে পড়ে যায় এবং তা বাদামী রং ধারণ করে। এ ছাড়া পাকা কলা ফ্রিজে রাখলে কলা দ্রুত আরো বেশি পেকে যাবে। ফলে ধরবে পচন। কলারও স্টার্চ চিনিতে পরিণত হয়। এ ধরনের ফল খেলে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কলা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।


৫. কুমড়ো


রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কুমড়োর স্বাদ সবচেয়ে ভালো থাকে। এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে রাখলে এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা ভালো থাকে। তবে কুমড়োর পচন রোধ করে ফ্রিজ।


৬. অ্যাভোকাডো


অ্যাভোকাডো এমন একটি জিনিস যা ফ্রিজে পচে না। শক্ত অবস্থায় একটি অ্যাভোকেডো ফ্রিজে রাখার তিন সপ্তাহ পরও তা হুবহু ছিলো। তবে রুমের তাপমাত্রায় এটি সংরক্ষণ করুন। এতে একটু দ্রুত পেকে গেলেও তা থেকে অনেক সুন্দর গন্ধ বের হবে। অ্যাভোকাডো খুব দ্রুত অক্সিডাইজ হয় অনিয়মিতভাবে। তবে তা কাটার পর দ্রুত খেয়ে ফেলা ভালো। তবে ফ্রিজে রাখতে হলে অ্যাভোকাডোতে সামান্য লেবুর রস দিয়ে রেখে দিতে পারেন।


৬. রসুন


রসুন এমনিতেই অনেকদিন ভালো থাকে। রান্নাঘরেই পাক্কা দুই মাস রসুন দিব্যি ভালো থাকে। তবে রসুনের গোড়া কেটে ফেললে তা ১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। অন্যদিকে, ফ্রিজে রাখলে তা পেঁজারের মতোই বাজে গন্ধ ছড়াবে এবং ফ্রিজেই রসুন দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post