কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন (৫৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। দেবরের স্ত্রীর সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (২ জুন) বিকেলে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, সৌদি প্রবাসী সামছুল আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম গত ২৭ জুন নিখোঁজ হন। চারদিন পর ১ জুলাই দেবরের পরিত্যক্ত বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে ফেরদৌসীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হএ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান থানায় হত্যা মামলা করলে বুড়িচং থানা পুলিশ এবং পিবিআই তদন্তে নামে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বাড়ির পাশের জমি নিয়ে ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে ঝা নুরজাহান বেগমের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে নুরজাহান বেগম পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় হত্যা চুক্তি করেন। আনোয়ার এই হত্যাকাণ্ডে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুকে যুক্ত করে।
হত্যার পর ফেরদৌসীর স্বর্ণের গহনা শংকুচাইল বাজারে নন্দিতা জুয়েলার্সে বিক্রি করে দেয় হত্যাকারীরা। পুলিশ সেই স্বর্ণ উদ্ধার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০), মো. সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), মমতাজ উদ্দিন মন্তাজের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) এবং মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)।
ওসি আজিজুল হক বলেন, ‘বুধবার দুপুরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তাদের কুমিল্লা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।য়।

Post a Comment