কাঁকরোল কেন খাবেন?

 


গরমের শুরু আর বর্ষার শেষেকাঁকরোলের দেখা মেলে বাজারে। অনেকের পছন্দের তলানিতে থাকা এই সবজিটি কিন্তু পুষ্টিগুণে টইটম্বুর। পরিচিত ও সহজলভ্য এই সবজির রয়েছে অনেক গুণ। নিয়মিত কাঁকরোল খেলে অনেক রকম উপকারিতা মেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-


হার্ট ভালো রাখে


হার্ট ভালো রাখতে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে হবে। কারণ ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের কারণে হার্টে ব্লকেজ তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। আপনি যদি নিয়মিত কাঁকরোল খান তাহলে তা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে দেবে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ভয় কমবে অনেকটাই।


রক্তস্বল্পতা দূর করে


অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ রক্তে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। যে কারণে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ারও ভয় থাকে। নিয়মিত কাঁকরোল খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কারণ কাঁকরোল শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।


কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ


কাঁকরোলে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি নিয়মিত খেলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। পরিচিত এই সবজির এমন অনন্য গুণের কথা কি জানতেন? এখন থেকে তবে নিয়মিত খেতে পারেন কাঁকরোল।


চোখ ভালো রাখে


চোখের নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত কাঁকরোল খেতে পারেন। এতে বিশেষ উপকার পাবেন। কারণ এই সবজিতে আছে উপকারী বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ও অন্যান্য অনেক উপাদান। এসব উপাদান দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে দারুণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে এটি চোখে ছানি পড়ার সমস্যা কাঁকরোল আমাদের দেশের অতি পরিচিত একটি সবজি। ছোট কাঁঠালের মতো সবুজ রঙের হয়ে এই সবজি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। কাঁকরোল ভাজা, ভর্তা কিংবা তরকারি সবকিছুই খেতে দারুন। বিশেষ করে যারা নিরামিষ খান তাদের কাছে কাঁকরোল খুবই প্রিয় খাবার।


পুষ্টি গুণে ঠাসা এই সবজিতে টমেটোর চেয়ে ৭০ গুণ বেশি লাইকোপিন, গাজরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন, ভুট্টার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি জিয়াজেন্থিন ও লেবুর চেয়ে ৪০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। আর তাইতো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এ সবজিটি রাখলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।


কাঁকরোল কেন খাবেন? সে সম্পর্কে জেনে নিন-


১. নিয়মিত কাঁকরোল খেলে রক্তশূন্যতা রোধ হয়। কারণ এতে থাকা আয়রন, ভিটামিন সি ও ফলিক রক্তস্বল্পতা দূর করতে ভূমিকা রাখে।


২. কাঁকরোলে থাকা ভিটামিন সি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।


৩. কাঁকরোল থাকা সেলেনিয়াম, খনিজ, ভিটামিন বিষন্নতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।


৪. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কাঁকরোল।


৫. কাঁকরোলে থাকা ভিটামিন, বিটা ক্যারোটিনের মতো উপাদান দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় ও ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।


৬. কাঁকরোলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।


৭. এতে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ এ সবজিটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।কাটাতেও কাজ করে।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post