আজকাল অনেক কম বয়সেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। ৩০ পেরোনোর আগেই অনেকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন, এমনকি প্রাণও হারাচ্ছেন। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি পায় না। এটি হঠাৎ হলেও, ঝুঁকি কিন্তু দিন দিন তৈরি হয়।স্ট্রোকের প্রধান কারণ কী?
উচ্চ রক্তচাপ
ডায়াবেটিস
হৃদরোগ
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস
শরীরচর্চার অভাব।
স্ট্রোক প্রতিরোধে জীবনধারায় বদল আনাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। বিশেষ করে, খাদ্যতালিকায় কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। নিয়মিত যেসব খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় :
শাকসবজি
পালং শাক, লাউশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিএগুলো রক্তে ব্লকেজ তৈরি হতে দেয় না ও হার্টকে সুস্থ রাখে।
আখরোট
আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড (আলফা লিনোলেনিক এসিড) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং দেহের প্রদাহ কমায়। এটি হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
সাইট্রাস ফল
লেবু, কমলা, কিউই ইত্যাদি ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
মাছ
মাছে ওমেগা-৩ এবং প্রোটিন থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
টক দই
টক দইয়ে রয়েছে পটাসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন ডি। এটি রক্তনালির স্বাস্থ্য বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও পেটের সমস্যাও কমায়।
স্ট্রোক হঠাৎ দেখা দিলেও, তার পেছনে থাকে দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিতাই সময় থাকতে সতর্ক হোন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। তবেই দূরে রাখা যাবে স্ট্রোকের মতো মারাত্মক বিপদ।
সূত্র : এই সময়ত জীবনযাপন।অক্সিডেন্ট।
Post a Comment