চা—আমাদের জীবনের আবেগের আরেক নাম। দিনের শুরুতে এক কাপ গরম ধোঁয়া ওঠা চা যেন একটু প্রশান্তি এনে দেয়। কিন্তু জানেন কি, শুধু একটা সাধারণ ভুলেই এই প্রিয় পানীয়টি স্বাস্থ্যহানিকর এমনকি ক্ষতিকরও হয়ে যেতে পারে?
সম্প্রতি পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন একটি ভিডিওতে দেখিয়েছেন, আমরা কী ভুলটা করে থাকি এবং কীভাবে একটু সচেতন হলে চা হতে পারে একেবারে স্বাস্থ্যকী ভুলে চা হয়ে যাচ্ছে ‘বিষ’?
আমরা অনেকেই চা বানাতে গিয়ে তা বারবার ফুটাই, কিংবা অনেকক্ষণ ধরে চা পাতা জ্বাল দিই। এতে চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন নামে এক উপাদান অতিরিক্ত পরিমাণে বের হয়ে আযদিও ট্যানিনের কিছু উপকার আছে, তবে বেশি হলে তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। যেমন:গ্যাস ও পেট ফাঁপা
- আয়রন শোষণে সমস্যা
- দাঁত, লিভার, কিডনি ও হার্টের ওপর নেতিবাচক প্রভাব
এ ছাড়া অনেকেই একবার বানানো চা বারবার গরম করে পান করেন, যা চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধ্বংসতাহলে চা বানানোর সঠিক ও স্বাস্থ্যকর উপায় কী?
লিমা মহাজনের দেওয়া চা তৈরির স্বাস্থ্যকর রেসিপি হলো এইভাবে—
প্রথম ধাপ: এক পাত্রে পানি ফুটান।
- মসলার সংযোজন: এতে মৌরি, দারুচিনি, লবঙ্গের মতো কিছু ভেষজ উপাদান দিন। ফুটতে দিন ৩-৪ মিনিট।
- চা পাতা ব্যবহার: একটি কাপ বা পাত্রে চা পাতা রাখুন, এরপর মসলাযুক্ত গরম পানি চায়ের ওপর ঢালুন। ১ মিনিট ঢেকে রাখুন।
- দুধ যোগ: আলাদা করে দুধ ফুটিয়ে, প্রয়োজন অনুযায়ী চায়ে মেশান।
- এবার আবার ১ মিনিটের মতো ঢেকে রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে গরম গরম উপভোগ করুন।
অতিরিক্ত পরামর্শ:
চা কখনো বারবার গরম করবেন না। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
একবারে যতটা খাবেন, ততটাই তৈরি করুন।
গরম থাকতেই চা পান করুন, এতে স্বাদও পাবেন, উপকারও।
এক কাপ ভালোভাবে বানানো চা শুধু আপনার মনকেই চাঙ্গা করে না, শরীরেরও উপকারে আসে। তাই এবার থেকে একটু সচেতন হোন—প্রিয় চা-কে বিষ নয়, বানিয়ে তুলুন আরও স্বাস্থ্যকর।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস করে ফেলেসে।কর।
Post a Comment