ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ধূমপান ছেড়ে দিলে শরীরের কী ধরনের পরিবর্তন আসে, তা অনেকেই জানেন না। বিশেষ করে, ফুসফুস কীভাবে আবার সুস্থ হয়ে ওঠে, তা জানলে আপনি অবাক হবেন। এখানে ধূমপান ছাড়ার ৩০ দিন পর ফুসফুসে যে পরিবর্তনগুলো ঘটে, তা তুলে ধরা হলো:১-৩০ দিনের মধ্যে কী ঘটে?
প্রথম ২৪ ঘণ্টা: ধূমপান ছাড়ার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফুসফুস থেকে কার্বন মনোক্সাইড বেরিয়ে যায়, যা অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়া২-৩ দিনের মধ্যে: এই সময়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা আরও উন্নত হতে শুরু করে। ব্রঙ্কিয়াল টিউবগুলো শিথিল হয় এবং শ্বাস নেওয়া সহজ হয়। স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতিও ফিরে আসে।
১-২ সপ্তাহের মধ্যে: ফুসফুসের ভিতরে থাকা সিলিয়া (ছোট চুলের মতো অংশ) আবার সচল হতে শুরু করে। এই সিলিয়াগুলো ফুসফুসের ভেতরের আবর্জনা এবং শ্লেষ্মা বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ এবং কাশির সমস্যা কমে আসে।
৩০ দিনের মধ্যে: এই সময়ের মধ্যে ফুসফুসের সামগ্রিক কার্যকারিতা ৩০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। শ্বাসকষ্ট কমে আসে এবং শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষমতা বাড়ে। ফুসফুসের প্রদাহও ধীরে ধীরে কমতে থাধূমপান ছাড়ার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
ধূমপান ছাড়ার এক বছর পর হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। পাঁচ বছর পর স্ট্রোকের ঝুঁকি অধূমপায়ীদের মতো হয়ে আসে। দশ বছর পর ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি ধূমপায়ীদের তুলনায় ৫০% কমে যায়সুতরাং, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার প্রতিটি মুহূর্ত আপনার ফুসফুসকে নতুন জীবন দেয়। এটি শুধু একটি অভ্যাস ত্যাগ নয়, বরং নিজের জীবনকে নতুন করে ফিরে পাওয়া।
Post a Comment