যেখানে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা বার্ধক্য প্রতিরোধে নানা গবেষণায় ব্যস্ত, সেখানে শতবর্ষী এক পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, জটিল চিকিৎসা নয়, সাধারণ জীবনযাপনেই লুকিয়ে রয়েছে যৌবন ধরে রাখার সাফল্যের চাবিকাঠি। আমেরিকার ১০১ বছর বয়সী জন স্কার্ফেনবার্গ দীর্ঘদিন ধরে সুস্থ, চনমনে ও কর্মক্ষম থাকার জন্য যেসব জীবনধারা অনুসরণ করছেন, তা থেকে তুলে ধরা হলো সাতটি সহজ কিন্তু কার্যকরী পদ্ধতি।জন স্কার্ফেনবার্গ একজন খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য গবেষক। তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী এবং বর্তমানে লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। বার্ধক্যজনিত কোনো রোগে আক্রান্ত নন তিনি, প্রতিদিন নিয়মিত শরীরচর্চা করেন এবং দৃষ্টিশক্তিও প্রখর।তাঁর শেয়ার করা ৭টি পদ্ধতি হলো—
১. ধূমপান বন্ধ করুন:
নিকোটিন ও তামাকজাত দ্রব্য সম্পূর্ণ বর্জনীয়। ধূমপান বন্ধ করলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয় এবং কোষ পুনর্গঠন শুরু হয়, যা হৃদ্যন্ত্র, কিডনি ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রা২. মদ্যপান ত্যাগ করুন:
মদ্যপান হৃদরোগ, ক্যানসার ও লিভার সমস্যা বাড়ায়। ছোটবেলা থেকেই মদ্যপান না করলে বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকি কম থাকে৩. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন:
জিমে না গেলেও হাঁটাহাঁটি, বাগান করা, সাঁতার কাটা ও যোগাভ্যাস শরীরকে সতেজ ও ফিট রাখে৪. রাতের খাবার এড়িয়ে চলুন:
রাতে উপোস থাকলে পাকস্থলী বিশ্রাম পায়, বিপাক ভালো থাকে এবং ইনসুলিন হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা হৃদরোগ ও পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে৫. নিরামিষ খাবার খান:
২০ বছর আগে থেকেই মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন জন স্কার্ফেনবার্গ। তিনি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, শাকসবজি, ফল, বাদাম ও বীজ খেয়ে শরীরের শক্তি বজায় রেখেছেন।
৬. চিনি ও মিষ্টিজাতীয় থেকে দূরে থাকুন:
চিনি শরীরের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকায় তিনি হরমোনজনিত কোনো সমস্যা ভোগ করেননি।
৭. জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন:
ট্রান্স ফ্যাট, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়া খাবার বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে। এসব খাবার তিনি একেবারেই বর্জন করেছেন।
জন স্কার্ফেনবার্গের মতে, কোনো অ্যান্টি-এজিং ওষুধ নয়, এই সাধারণ জীবনযাপন পদ্ধতিই তাঁকে সুস্থ ও তরুণ রাখছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলেন, এসব জীবনধারা অনুসরণ করলেই দীর্ঘদিন যৌবন ও সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।।।।খে।
Post a Comment