শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কী হয়

 

ক্যালসিয়াম হাড়, দাঁত মজবুত করে এবং পেশি ও স্নায়ুর কাজ ঠিক রাখে। দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার না খেলে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে পারে, যা বিশেষ করে চল্লিশের পরে নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তাই ডায়েটে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম রাখা জরুরি। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ নেওয়া উচিত নয়।


চিকিৎসকদের মতে, এর পরিণতি কিন্তু উদ্বেগজনক হতে পারে। পেট ব্যথা, বমি ভাব, অবসাদ, এমনকি, এই অভ্যাসের ফলে হার্টের অসুখের ঝুঁকিও বাড়ে।


মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে কিন্তু তা থেকে হতে পারে ক্যালসিয়াম ডিপোজিট। জেনে নিন, শরীরে ক্যালসিয়াম জমতে শুরু করলে কী কী ক্ষতি হতে পা* শরীরের ক্যালসিয়াম মাত্রা ও হাড়ের ঘনত্ব দেখে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে। বিনা পরামর্শে অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট কিডনি স্টোন ও কিডনি বিকলের ঝুঁকি বাড়ায়।


* রক্তে ক্যালসিয়াম স্নায়ু সংকেত, হরমোন ক্ষরণ এবং পেশির সংকোচনে সাহায্য করে। এটি হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখতেও প্রয়োজন। তবে বেশি ক্যালসিয়াম পেশির সংকোচনে বাধা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার কারণ হয়।


* মুঠো মুঠো ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খান, এমন নারী ও পুরুষদের মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগের প্রবণতা অনেক বেশি। প্রয়োজনে ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে তবে নিয়ম মেনে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।


* অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট হাইপার ক্যালসিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায় এবং অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। হার্ট বা আয়রনের ট্যাবলেটের সঙ্গে নিয়মিত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নেওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যার ফলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা ও বমি ভাবের মত উপসর্গ দেখা দেয়।


* মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শরীরে জমা হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। তাই যাদের এই সমস্যা আছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।রে।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post