ক্যান্সার সারভাইভারদের জন্য খাবারের তালিকা শুধু রোগ প্রতিরোধেই নয়, ভবিষ্যতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডায়েটিশিয়ান অ্যাঞ্জি বক্সবার্গার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যান্সার সারভাইভারদের জন্য ৫টি বিশেষ খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্যান্সার সারভাইভারের নিয়মিত এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত। এতে ভবিষ্যতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাবে।”অ্যাঞ্জি জানান, এসব খাবার শুধু অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্যই বহন করে না, বরং হরমোন নিয়ন্ত্রণ, হজমশক্তি বাড়ানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করাসহ সামগ্রিক সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।ক্যান্সার সারভাইভারদের জন্য প্রস্তাবিত ৫ খাবার
১. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ):
ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে লিগন্যানস, যা বিশেষ করে হরমোন-নির্ভর ক্যান্সার যেমন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে আছে উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ও উচ্চমাত্রার ফাইবার, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সহা২. ক্রুসিফেরাস সবজি:
ব্রোকলি, কেলে, ব্রাসেলস স্প্রাউটের মতো সবজিতে থাকে সালফোরাফেন নামক যৌগ, যা দেহকে টক্সিনমুক্ত করে ও কোষকে সুরক্ষা দেয়। সপ্তাহে কয়েকবার এসব সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি৩. হলুদ:
হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন, যা প্রদাহরোধী এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে সক্ষম। কালো মরিচের সঙ্গে খেলে শরীরে এর শোষণ বাড়ে। রান্না, স্যুপ বা দুধে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে৪. সয়াজাত খাদ্য:
টফু, সয়া দুধ, টেম্পে বা এডামামে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় না, বরং গবেষণা বলছে এগুলো স্তন ক্যান্সার সারভাইভারদের জন্য উপকারী। এগুলো প্রোটিনসমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিকভাবে হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে৫. স্যামন মাছ:
স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যারা মাছ পছন্দ করেন না, তারা আখরোট, তিসি বা চিয়া বীজ থেকেও বিকল্প ওমেগা-৩ পেতে পারেন।
অ্যাঞ্জি বক্সবার্গার বলেন, “ক্যান্সার প্রতিরোধ মানে কেবল একটি খাবার নয়, বরং জীবনধারায় পরিবর্তন আনা। ফলমূল, সবজি, পূর্ণ শস্য, লিন প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি দিয়ে তৈরি সুষম খাদ্যই হতে পারে প্রকৃত প্রতিরক্ষার চাবিকাঠি।
Post a Comment