গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মৌসুম। আর এই সময় ডায়াবেটিস রোগীদের অন্যতম সাধারণ প্রশ্ন হলো—“আম কি খাওয়া যাবে?”মুম্বাইয়ের খ্যাতনামা ডায়াবেটোলজিস্ট ডা. রাহুল বক্সি বলেন, “আমের মিষ্টতা ও নানা জাতের কারণে এটি ভারতীয়দের গ্রীষ্মকালীন পছন্দের ফল। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই দ্বিধায় পড়েন—কেউ মনে করেন একেবারেই খাওয়া যাবে না, আবার কেউ বিশ্বাস করেন বেশি আম খেলে নাকি ডায়াবেটিস উল্টে যেতে পারে।”তবে সাম্প্রতিক দুটি ভারতীয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এ বিষয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সীমিত পরিমাণে ও কার্বোহাইড্রেটের বিকল্প হিসেবে আম খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।
ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি পাইলট স্টাডিতে ৯৫ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা গেছে, ভারতের জনপ্রিয় তিন জাত—সফেদা, দশহরা ও ল্যাংড়া আম খাওয়ার পর রক্তে শর্করার প্রতিক্রিয়া সাদা পাউরুটির তুলনায় সমান কিংবা কম। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খাবারের পর রক্তে শর্করার ওঠানামা অনেক কম ছিল, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে।
আরেকটি আট সপ্তাহের গবেষণা জার্নাল অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডার্সে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, দিল্লির ফোর্টিস সি-ডক সেন্টারে ৩৫ জন টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী নাশতার পাউরুটি বাদ দিয়ে ২৫০ গ্রাম আম খেলে রক্তে শর্করা, ইনসুলিন প্রতিরোধ, শরীরের ওজন, কোমরের মাপ এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) সবগুলো সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
Post a Comment