যে ভিটামিনের অভাবে হাতের তালু ঘামে

 ঠান্ডা কি গরম সব আবহাওয়াতেই কারও কারও হাতের তালু ঘেমে যায় — যা শুধু অস্বস্তিকরই নয় বরং সামাজিক এবং পেশাগত জীবনেও বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্ম দেয়। চিকিৎসকদের মতে, এই উপসর্গ অনেক সময় ভিটামিনের ঘাটতির কারণে হতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের ঘাটতি এর পেছনে দায়ী।


কোন ভিটামিনের অভাবে তালু ঘামে?


১. ভিটামিন ডি:


ভিটামিন ডি-এর অভাব শরীরের স্নায়ুতন্ত্রে অস্বাভাবিক উত্তেজনা তৈরি করে। এতে করে তালু, পায়ের তলা এমনকি শিশুদের ক্ষেত্রে মাথার তালু ঘেমে যেতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়াও এ ঘাটতির একটি লক্ষণ।


২. ভিটামিন বি১২:


স্নায়বিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিনের অভাবে হাত-পায়ে ঝিনঝিনে ভাব, দুর্বলতা এবং অতিরিক্ত ঘামের উপসর্গ দেখা দেয়। নিরামিষভোজীদের মধ্যে এই ঘাটতি বেশি লক্ষ্য৩. ভিটামিন বি১ ও বি৬:


এই দুটি ভিটামিনও স্নায়ুতন্ত্রে সরাসরি প্রভাব ফেলে। ঘাটতির ফলে হাতের তালুতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


করণীয় ও চিকিৎসা


 রক্ত পরীক্ষা:


এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে প্রথমেই রক্তের মাধ্যমে ভিটামিনের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত।


সাপ্লিমেঘাটতি ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।


সুষম খাদ্যাভ্যাস:


সঠিক খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে ভিটামিনের ঘাটতি অনেকাংশেই পূরণ করা সম্ভব।


কোন খাবারে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়?


ভিটামিন ডি: সূর্যালোক, চর্বিযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, ফোর্টিফাভিটামিন বি১২: গরু-মুরগির মাংস, ডিম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ


ভিটামিন বি১ ও বি৬: বাদাম, শাকসবজি, কলা, ছোলা


চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু ঘাম নয়, যদি তালুর ঘামের পাশাপাশি স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ বা মনমরা ভাব দেখা যায়, তাহলে তা হতে পারে শরীরের ভিতরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। তাই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবহেলা না করে দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়াই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।য়েড দুধন্ট গ্রহণ: করা যায়।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post