মেহমান হয়ে কত দিন থাকা যাবে, যা বলছে ইসলাম

 


কোরআনে রাব্বুল আল আমিন ইরশাদ করেন, ‘তারাই বিবেকবান যারা আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ দিয়েছেন তা অক্ষুণ্ন রাখে এবং তাদের প্রতিপালককে ভয় করে। ভয় করে কঠোর হিসাবকেও। (সুরা রাদ : ২১)।



কাজেই আত্মীয়দের ঠিকমতো খোঁজখবর রাখা, মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া প্রত্যেকের জন্য কর্তব্য। ইমানি দায়িত্ব। তবে, অনেকে না বলেই আত্মীয়দের বাড়িতে চলে যান। এটা মোটেও ঠিক না। এতে ওই আত্মীয়রা বিব্রত হন। অসুবিধায় ভোগেন। আবার কেউ কেউ কারও বাড়িতে মেহমান হয়ে গিয়ে বেশিদিন থাকেন। এটাও গর্হিত কাজ। বদ স্বভামহানবী (সা.) বলেন, ‘মেহমানের পারিতোষিক হলো এক দিন এক রাত। মেহমান নাওয়াজি তিন দিন। আর তার বেশি হলো সদকাহস্বরূপ। কোনো মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের নিকট এতটা থাকা বৈধ নয়, যাতে সে তাকে গোনাহগার করে ফেলে।’



লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, তাকে কীভাবে গোনাহগার করে ফেলে? উত্তরে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘সে (মেহমান) তার কাছে (বেশি দিন) থাকবে, অথচ তার (মেজবানের) এতটা সামর্থ্য নেই, যা দিয়ে তার মেহমানকে মেহমানদারি করবে। (বোখারি : ৬১৩৫, মুসলিম : ৪৪০৬)।’



আরেক হাদিসে নবী করিম (সা.) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমরকে (রা.) লক্ষ্য করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমার ওপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে। (বোখারি : ৬১৩৪)।’



এ হাদিস দুটি থেকে বুঝা যায়, মেজবানের উচিত মেহমান এলে প্রথম একদিন ও একরাত তার ভালোভাবে খাতির করা। পরের দুই দিন স্বাভাবিক খাতির করা। তারপরও মেহমান থেকে গেলে তাকে সাধারণ খাবার দেওয়া। তার প্রতি বিরক্ত না হওয়া। কারণ, তাতে সে সদকার সওয়াব অর্জন করতে থাকবে।



আর মেহমানের উচিত, তিনি যার বাড়িতে মেহমান হয়েছেন তার অবস্থা বোঝা। তাকে কষ্টের মধ্যে না ফেলা।ব।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post