প্রতিনিয়তই অফিস, কারখানা, সুপার শপ কিংবা রেস্টুরেন্টে চোখে পড়ে ছোট্ট লাল সিলিন্ডার। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ফায়ার এক্সটিংগুইশার’। এই লাল সিলিন্ডারের ভেতরে থাকা উপাদান আগুন নেভাতে সাহায্য করে। এমনটাই জানেন সবাই। কিন্তু এই সিলিন্ডার কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না। প্রাথমিক অবস্থাতেই আগুন লাগার স্থলে ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রয়োগ করতে হয়। এর হ্যান্ডেল ডান হাতে ধরে বাম হাত দিয়ে টান দিয়ে সেফটি পিন খুলে ফেলতে হবে। এরপর বাম হাতে হোসপাইপ আগুনের দিকে তাক করে ডান হাত
দিয়ে বাটন বা লিভার চাপতে প্রকারভেদ
প্রতিটি ফায়ার এক্সটিংগুইশারের গায়ে লেখা থাকে তাতে কী ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে। সিলিন্ডারের গায়ের রং দেখেও বোঝা যায় তা কী ধরনের এক্সটিংগুইশাযেমন—লাল রং হচ্ছে ওয়াটার টাইপ, ক্রিম কালার হচ্ছে ফোম টাইপ, কালো রং হচ্ছে কার্বন ডাইঅক্সাইড টাইপ এবং নীল রঙের এক্সটিংগুইশার হচ্ছে পাউডার টাইপ।
সতর্কতা
ফায়ার এক্সটিংগুইশার সবসময় বাতাসের অনুকূলে থেকে প্রয়োগ করতে হয়। যাতে কেমিক্যাল পাউডার বা গ্যাস বা ফোম উড়ে এসে নিজের গায়ে না পড়ে। আগুনের উৎপত্তিস্থলের সর্বোচ্চ দুই মিটার দূর থেকে ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রয়োগ করতে হয়। আগুন ছোট অবস্থায় থাকতে ফায়ারম্যানের অপেক্ষায় না থেকে হাতের কাছে থাকা ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মাধ্যমে আগুন নেভানো যায়।
অতিরিক্ত সতর্কতা
যদি আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়ে, তবে নিজে তা নেভানোর চেষ্টা না করে, দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিন। বৈদ্যুতিক আগুন নেভানোর জন্য
পানি ব্যবহার করা উচিত নয়।
কার্বন ডাইঅক্সাইড বা ড্রাই পাউডার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করুন। এক্সটিংগুইশার ব্যবহারের আগে, এটির ব্যবহারবিধি এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখে নিন। নিয়মিত ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষা করুন, যাতে প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করা যায়।র।হয়।
Post a Comment