হাটহাজারীতে মেয়েকে তুলে নিয়ে বিয়ে, সালিসে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৪)। তাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করা হয়। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য শুক্রবার রাতে সালিস বৈঠক ডেকে মেয়ের বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড হাটহাজারী থানার সন্দীপ কলোনিতে।শনিবার (২ আগস্ট) এ ঘটনা জানাজানি হয়েছে।

নিহত ফখরুল ইসলাম (৫৮) সন্দীপ কলোনির ফয়জল মাওলার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ নুর আলম (৪২) ও মো. মুসলিমকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।


থানা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি গত ২৭ জুলাই বিদ্যালয় থেকে সন্দীপ কলোনির বাসায় ফিরছিপথে জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরের যুবক রিফাত (২২)। সে নির্মাণ শ্রমিক। তার খালার বাড়ি সন্দীপ কলোনিতে। ঘটনার সময় তার সহযোগী হিসেবে ছিল জাহিদ, বাদল, রিপন ও আব্দুর রহমান।

মেয়েটিকে নিয়ে বিয়ের রেজিস্টারে জোর করে সই নেওয়া হয়।

এদিকে মেয়েকে না পেয়ে পরিবার ওই দিন হাটহাজারী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পর দিন হাটহাজারীর পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থানা এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।


শুক্রবার রাতে মীমাংসার জন্য দুই পক্ষ আমতলী সন্দীপ কলোনিতে সালিস বৈঠকে এলাকার মাতবররা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় ছেলে ও মেয়ে পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মেয়ের বাবা ফখরুল ইসলামকে (৫৮) ছেলে পক্ষ কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। ইট ও পাইপ দিয়ে বুক-মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। দ্রুত তাকে চৌধুরীহাট ম্যাক্স কেয়ার হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান জানান, আমতলী সন্দীপ কলোনিতে সালিস বৈঠকে মারামারি হয়। মারামারিতে ফখরুল মারা যান। পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, দুজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।বসে।ল।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post