অতিরিক্ত পানি খাওয়া ক্ষতিকর: বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

 

স্বাস্থ্য সচেতনতার আলোচনায় প্রায়ই পর্যাপ্ত পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেকেই অন্ধভাবে ‘প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি’ নিয়ম মেনে চলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত পানি শরীরের জন্য উপকারী নয়, বরং এটি কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গকে অতিরিক্ত চাপের মুখে ফেলে এবং শরীরে লবণ ও খনিজের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।চেন্নাইয়ের ভিএস গ্রুপ অব হাসপাতালের কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. এলাকিয়া মাথিমারণ বলেছেন, “অতিরিক্ত পানি খাওয়া বা ওয়াটার ইনটক্সিকেশন এমন একটি শব্দ যা মানুষ সাধারণত শোনেন না, যতক্ষণ না দেরি হয়ে যায়। কিডনি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ প্রায় এক লিটার পানি প্রসেস করতে পারে। এর চেয়ে বেশি হলে কিডনির ওপর চাপ তৈরি হয়।”অতিরিক্ত পানির ঝুঁকি


ডা. মাথিমারণ জানান, অতিরিক্ত পানি পান করলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা হঠাৎ কমে যায়। একে বলা হয় হাইপোনাট্রেমিয়া। এর প্রাথমিক লক্ষণ হলো—


পেটে ফাঁপামাথা ঝিমঝিম করা


বমি বমি ভাব


গুরুতর ক্ষেত্রে খিঁচুনি ও জীবনঘাতী জটিলতাও হতে পারে।


তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “যে ধারণা বেশি পানি মানেই ভালো, সেটি ভুল। দীর্ঘ দৌড় বা খেলাধুলা করা অ্যাথলেট, কিডনি বা হৃদরোগী এবং যারা তথাকথিত ‘হাইড্রেশন চ্যালেঞ্জ’ অনুসরণ করেন—তাদের জন্য ঝুঁকি সবচেয়ে কতটা পানি খাওয়া উচিত?


বিশেষজ্ঞের মতে, সবার পানির প্রয়োজন এক নয়। এটি নির্ভর করে—


বয়স, ওজন, খাদ্যাভ্যাস ও দৈহিক কর্মকাণ্ডেরআবহাওয়া ও ঘামের পরিমাণের ওপর


খাবার ও পানীয় থেকে শরীরে আসা পানির অংশের ওপর (যেমন ফল, শাকসবজি, স্যুপ, এমনকি চা-কফি থেকেও পানি যোগ হয়)


পানি খাওয়ার সঠিক নির্দেশনা:


তৃষ্ণা পেলে পানি পান করুন, জোর করে সময় ধরে খাওয়ার দরকার নেই।


প্রস্রাবের রঙ দেখে আন্দাজ করুন; হালকা হলুদ হলে সাধারণত ঠিক আছে।


অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে শুধু পানি নয়, লবণও পূরণ করতে হবে।


যাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।


সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস ওপরবেশি।” ভাব

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post