উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছেন, যা বলছে ইসলাম

 আল্লাহ পাকের যেসব নেয়ামতের কোনো তুলনা হয় না এর একটি হচ্ছে ঘুম। আমাদের সুস্থ-স্বাভাবিক থাকার জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। এই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যাদের ঘুমের সমস্যা তারাই কেবল জানেন এটা কত মূল্যবান নেয়ামত। ইসলামে সবকিছুর সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়।


আমরা অনেকেই উপুড় হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করি। কিন্তু এই অভ্যাসটা ভালো নয়। এভাবে শোয়া সাময়িক আরামদায়ক মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।


রাসুল (সা.) এভাবে শুতে নিষেধ করেছেন। এর কারণ হিসেবে হাদিস শরিফে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক. মহান আল্লাহ এভাবে শোয়া পছন্দ করেন না। দুই. এটি জাহান্নামিদের শোয়া। জাহান্নামিদের উপুড় করেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ইবনে তিখফা আল-গিফারি  (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা তাকে অবহিত করেন যে তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য।

.রাসুল (সা.)-এর বাণী—‘এটা তো জাহান্নামের শয়ন’—এর পক্ষে পবিত্র কুরআনের আয়াতও পাওয়া যায়। পবিত্র কুরআনে জাহান্নামিদের প্রতি ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন তাদের উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে; সেদিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন করো। ’ (সুরা : কমার, আয়াত : ৪৮)।


Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post