আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার আব্বা উহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছেন। এবং রেখে গেছেন ৯টি মেয়ে। এখন আমার ৯ বোন। এ কারণে আমি তাদের সাথে তাদেরই মত একজন অনভিজ্ঞ মেয়েকে এনে একত্রিত করা পছন্দ করলাম না। বরং এমন একজন মেয়েকে (বিয়ে করা পছন্দ করলাম) যে তাদের চুল আঁচড়িয়ে দিতে পারবে এবং তাদের দেখাশোনা করতে পারবে। (এ কথা শুনে) তিনি বলেছেন, ঠিক করেছ। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৭৫৬)
উপর্যুক্ত হাদিস থেকেও বুঝা যায়, প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাওয়া কুমারী নারীকে বিয়ে করা ও স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ভারসাম্য রক্ষা করা।
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের বেশি ব্যবধানে দূরত্ব সৃষ্টি হয়!
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধানে ভারসাম্য প্রয়োজন। হযরত ফাতেমা (রা.)-কে বিয়ে করার প্রস্তাব সর্বপ্রথম হযরত আবু বকর (রা.) দেন। অতঃপর হযরত ওমর (রা.) প্রস্তাব দেন। উদ্দেশ্য ছিল, তারা প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জামাতা হওয়ার সম্মান অর্জন করবেন।
প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে [ফাতেমা (রা.)] অনেক ছোট। তাঁদের বয়স অনেক বেশি ছিল। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বয়সের কথা বিবেচনা করে তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেন।
মেয়ের বয়স কম হলে স্বামীর বয়স অতিরিক্ত বেশি হওয়া উচিত নয়। বয়সের বেশি অসমতায় বিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। (ইত্তিহাফুস সায়েল বিমা লিফাতিমাতা মিনাল মানাকিবি ওয়াল ফাদাইল, পৃষ্ঠা : ৩৪-৩৬)
জান্নাতি নারীদের সর্দার হযরত ফাতেমা (রা.)-এর বিয়ের সময় বয়স ছিল সাড়ে ১৫ বছর। (সিয়ারু আলামিন নুবালা, পৃষ্ঠা : ৪২৩)। তবে ইবনে সাদের মতে, সে সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর। আর বিখ্যাত সাহাবি হযরত আলি (রা.)-এর বয়স ছিল ২১, মতান্তরে ২৫ বছর। ইসলামে হযরত আলি (রা.) ও হযরত ফাতেমা (রা.)-এর বিয়ে একটি আদর্শ বিয়ে।
উপর্যুক্ত আলোচনায় বুঝা যায়, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ভারসাম্য রক্ষা করা উচিত। উত্তম হলো, বয়স কাছাকাছি হওয়া। স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স কিছু কম হওয়া। কারণ নারীর শারীরিক কাঠামো থাকে দুর্বল। ফলে সে আগে বৃদ্ধা হয়ে যায়। যদি স্বামীর বয়স স্ত্রীর থেকে দুই-চার বছর বেশি হয় তাহলে দাম্পত্য সম্পর্কে ভারসাম্য আসে।
Post a Comment