নিজ বাড়িতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, বাঁচাতে গিয়ে আহত বাবা-ভাই

 

বিদেশ পাঠানোর নামে আর্থিক লেনদেনের জেরে এক যুবককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবককে বাঁচাতে গেলে তার বাবা ও ভাইকেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়েছে।


আজ সোমাবার দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের গাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।


নিহত বাহার হোসেন বাবু (২৪)। তার বাবা রওশন আলী (৫৫) ও ভাই আরমান হোসেন (২৭) গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আরমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।


এই ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত হাসান (৪০) ও সাকিলকে (২৩) আটক করে পুলিশে দিলেও রাকিব হোসেন (১৯) পালিয়ে গেছে।


পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক জানান, বড়গাঁও গ্রামের গাজী বাড়ির প্রবাসী হাসানের সঙ্গে একই বাড়ির বাসিন্দা বাহার হোসেন বাবুর সঙ্গে বিদেশে পাঠানোর টাকা নিয়ে লেনদেন ছিল। গত প্রায় একমাস পূর্বে বাবু ওমান থেকে দেশে আসলে হাসানের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা সালিস বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি।


তিনি আরও জানান, আজ পুনরায় সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে হাসান দুপুরে বাবুকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তার নিজের ঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তার ধারালো ছুরি দিয়ে গটা কেটে বাবুকে হত্যা করে।


এ সময়ে বাবুকে বাঁচাতে তার ভাই আরমান হোসেন গাজী ও তার বাবা রওশন আলী গাজী এগিয়ে গেলে ঘাতক হাসান, তার ছেলে রাকিব, সাকিল ও তার পুত্রবধূ সুমাইয়া তাদের ওপর হামলা করে। এতে আরমানের বুকে ও রওশন আলীকে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।


ঘটনাটি এলাকায় প্রকাশ হলে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে হাসানকে আটকে রেখে পুলিশে সোর্পদ করে। আর ঘাতক সাকিল পালিয়ে যাওয়ার সময় মুন্সিরহাট এলাকা থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।


বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘এই ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post