Top News

ঘুমানোর আগে যে আমল করলে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা বাড়ে

 


দাম্পত্যজীবনে সুখ থাকে, দুঃখ থাকে, থাকে ঝগড়াও। জীবনজুড়ে এসব ঝড়ঝাপ্টার মধ্য দিয়েই স্বামী-স্ত্রীকে পরকালমুখী হতে হয়। আখিরাতের প্রস্তুতি নিতে হয়। তবে ঝগড়া কারোরই পছন্দ না।



মনখারাপ করা কারোরই ভালো লাগে না। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়াঝাঁটি বা মনোমালিন্য বেশি হলে অনেক সময় সিদ্ধান্ত বিচ্ছেদের দিকে পা বাড়াআর আল্লাহতায়ালা বিচ্ছেদ পছন্দ করেন না। হজরত মুআররিফ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে হালাল বিষয়ের মধ্যে তালাকের চেয়ে অধিকতর ঘৃণিত আর কিছু নেই।’ (আবু দাউদ : ২১৭৭)। তাই রাতে ঘুমানোর আগে স্বামী-স্ত্রীর জন্য এমন দুটি আমল রয়েছে, যা ঠিকমতো আদায় করলে তাদের দাম্পত্য জীবনে শান্তি ও ভালোবাসা বৃদ্ধি হয়। সম্পর্ক মজবুত হয়। স্থায়ী থাকে।



চলুন, জেনে নিই সেই আমল দুএক : আল-মানিয়ু (اَلْمَانِعُ)। এটি আল্লাহতায়ালার গুণবাচক নামগুলোর একটি। এ নামের আমলে সহজে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য দূর হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালার ৯৯টি গুণবাচক নাম আছে। যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির (আমল) করবে, সে জান্নাতে যাবে।’



(اَلْمَانِعُ)’-এর উচ্চারণ : আল-মানিয়ু


অর্থ : ক্ষতি ও বিপর্যয়কে বাধা দানকারী



ফজিলত ও আমল


যে সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো কারণে রাগ বা মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়, ঘুমাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর এ পবিত্র গুণবাচক নাম (আল-মানিয়ু) ২০ বার পাঠ করলে তাদের রাগ-মনখারাপি দূর হয়ে যায়।



দুই : কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া আছে যা ঘুমানোর আগে পাঠ করলে ভালোবাসা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করে। দোয়াটি হলো—


رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا উচ্চারণ : রব্বানা হাব লানা মিন্‌ আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউনিন্‌ ওয়াজআ’লনা লিল্‌মুত্তাক্বীনা ইমামা।



অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদের পরহেজগারদের জন্য এক আদর্শ (নেতা) বানাও। (সুরা আল-ফুরকান : ৭৪)


এই দোয়া স্বামী-স্ত্রী উভয়েই পড়তে পারেন। হোক আপনি নতুন বিবাহিত কিংবা বহু বছরের দাম্পত্য জীবন পার করেছেন, এই দোয়ার গভীর অর্থ এবং শক্তি দুজনের মাঝে মমতা, ক্ষমাশীলতা ও ভালোবাসার বাতি আবার জ্বালাতে পারে।টি—য়।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post