আজকের যুগে প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও নামাজের সময় মোবাইল ফোনের হঠাৎ রিংটোন বেজে ওঠা শুধু নিজস্ব মনোযোগকে বিঘ্নিত করে না, বরং আশেপাশের মুসল্লিদেরও বিরক্ত করে। ইসলামে নামাজে খুশু-খুজু (একাগ্রতা) বজায় রাখার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নামাজ শুরু করার আগে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট বা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা সবচেয়ে উত্তম।
তবে হঠাৎ নামাজরত অবস্থায় ফোন বেজে উঠলে কিছু নির্দেশনা রয়েছে:
.নামাজের ভেতরে মোবাইল বন্ধ করার প্রয়োজন হলে তা এক হাত দিয়ে দ্রুত বন্ধ করা যাবে।
. মোবাইল পকেটের ভেতরে থাকুক বা বাইরে, এক হাত দিয়ে বোতাম চাপ দিয়ে রিংটোন বন্ধ করা নামাজের জন্য বৈধ।
তবে যদি কেউ দুই হাত ব্যবহার করে বা ফোন বের করে দেখে দেখে বন্ধ করে, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে।
একইভাবে, এক হাত দিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় লেগে যায়, তাহলেও নামাজ নষ্ট হবেসলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাজের সময় হলে সুন্দরভাবে ওজু করে, একাগ্রতার সঙ্গে রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করে, তার নামাজ আগের সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়।
তাই নামাজে মনোযোগ বজায় রাখার স্বার্থে প্রত্যেক মুসল্লির উচিত, নামাজের আগে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট/বন্ধ করা, এবং হঠাৎ রিংটোন বেজে উঠলে এক হাত দিয়ে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা।
নামাজে অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া থেকে বিরত থেকে এক হাতের মাধ্যমে মোবাইল রিং বন্ধ করা জায়েজ, তবে দুই হাত ব্যবহার বা অযথা বিলম্ব করলে নামাজ ভেঙে যাব
Post a Comment