স্ট্রোকের ২ মাস আগে শরীরে দেখা দেয় ৬টি সতর্ক সংকেত

 বর্তমান সময়ে ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে অনেকটাই। অনেকে ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে বিশেষ কোনো চেষ্টা ছাড়াই হঠাৎ ওজন দ্রুত কমতে শুরু করলে তা অবশ্যই চিন্তার কারণ হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে যদি কারো মোট ওজনের ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমে যায় এবং এর পেছনে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ আচমকা ওজন হ্রাস অনেক সময় গুরুতর রোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে যদি কারো মোট ওজনের ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমে যায় এবং এর পেছনে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ আচমকা ওজন হ্রাস অনেক সময় গুরুতর রোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।ক্যান্সার

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ ক্যান্সার। বিশেষ করে পেট, ফুসফুস, লিভার, অগ্ন্যাশয় বা রক্তের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ওজন কমে যেতে দেখা যায়।

🔹 হরমোনজনিত সমস্যা

হাইপারথাইরয়েডিজমে শরীরে অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয়, যার ফলে বিপাকের হার বেড়ে গিয়ে দ্রুত ওজন কমে যায়। অ্যাডিসন’স ডিজিজেও কর্টিসল হরমোনের ঘাটতি থাকায় ওজন কমতে পাপাচনতন্ত্রের রোগ

ক্রোন’স ডিজিজ, উলসারেটিভ কলাইটিস বা সিলিয়াক রোগে শরীর সঠিকভাবে খাবারের পুষ্টি শোষণ করতে পারে না। এতে ধীরে ধীরে ওজন কমে যায় এবং রোগী দুর্বল হয়ে পড়েমানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

খাদ্যগ্রহণজনিত রোগ যেমন অ্যানোরেক্সিয়া বা বুলিমিয়ার কারণে ওজন হ্রাস পায়। এছাড়া বিষণ্নতা ও উদ্বেগের কারণে ক্ষুধা কমে গিয়ে ওজন কমে যেতে পারেডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ

টাইপ-১ ডায়াবেটিসে শরীর গ্লুকোজ ব্যবহার করতে না পারায় শক্তির জন্য ফ্যাট ও মাংসপেশি ভেঙে ব্যবহার করে। হার্ট ফেলিওর, টিবি, এইচআইভি বা গুরুতর সংক্রমণেও ওজন দ্রুত কমে যেতে পারেওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

দীর্ঘদিন কিছু ওষুধ সেবনের ফলে ক্ষুধামন্দা বা হজমে সমস্যা হতে পারে, যা ওজন হ্রাসের কারণ হতে পারে।

🔹 ক্যাশেক্সিয়া বা ওয়েস্টিং সিন্ড্রোম

এই জটিল অবস্থায় শরীর থেকে একইসঙ্গে মাংসপেশি ও ফ্যাট নষ্ট হয়ে যায়। ক্যান্সার, হার্ট ফেলিওর বা কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত ওজন হ্রাসকে অবহেলা করা ঠিক নয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করা জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করলে জটিল অনেক রোগই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।।।নরে।