মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। শোকাবহ এই দিনে তাঁকে নিয়ে কথা বলেন খল অভিনেতা শিবা শানু। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জাসাস’র সদস্যরা।এ সময় সাংবাদিকদের শিবা শানু বলেন, ‘‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সৃষ্টির অপর নাম। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এ দেশে গণতন্ত্র হতো না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতো না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এ দেশের জনগণের দৈনন্দিন জীবন-যাপনের মান উন্নয়ন হতো না। সেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী, তাঁর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমিসহ জাসাস’র সমস্ত শিল্পীবৃন্দ আমরা একসাথে এসেছি তাঁর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে, তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে।’’১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও অবদান প্রসঙ্গে এই খল অভিনেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ইতিহাস আমরা অনেকেই জানি। যাঁরা জানেন না তাঁদেরকে বলি, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনি যখন আমাদের নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা করেছিল, লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করছিল, তখন তৎকালীন নেতৃত্বাধীন যে রাজনৈতিক দলটি ছিল, সেই দলের সমস্ত নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অনেকে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করেন। কিন্তু আমার নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন, যে ঘোষণার মাধ্যমে নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালি জাতি যুদ্ধের জন্য অনুপ্রেরণা পেল। দেশের আপামর মানুষজন মুক্তিযুদ্ধে শামিল হলো। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেলাম।’যোগ করে শিবা শানু বলেন, ‘পরবর্তীতে তিনি (সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান) যখন ক্ষমতায় এলেন, রাষ্ট্রপতি হলেন—বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিলেন, যার মধ্যে খালখনন কর্মসূচি, গার্মেন্টস খাতের উন্নয়ন উল্লেখযোগ্য। তিনি গালফভুক্ত দেশগুলোতে গেলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করলেন এবং আমাদের দেশ থেকে সেসব দেশে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক পাঠালেন। আজকে গার্মেন্টেসের মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স আসছে তা তাঁরই অবদান, আজকে আমাদের দেশে কল্যাণকর যা দেখেন, সবই জিয়াউর রহমানের অবদান। জিয়াউর রহমানের এত সুন্দর, ভালো কাজগুলো করতে দিতে না চেয়ে সেই কুচক্রী মহল, যারা একাত্তরে ব্যর্থ ছিল, পালিয়ে গিয়েছিল—তারা ১৯৮১ সালের ৩০ মে আমার নেতা জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অভিভাবক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে স্থবির করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
Post a Comment