ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে জুলাইয়ের যোদ্ধা শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকা আগেই ঝুলিয়ে রেখেছিল। এর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা নারীবিদ্বেষ সমর্থন করেন না। রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে এসব জানানো হয়েছে।হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হেফাজতের ৩ মে’র মহাসমাবেশ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘জাগ্রত জুলাই’ নামক একটি স্ট্যান্ডে ঝোলানো জনতার ক্ষোভের শিকার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকার সঙ্গে হেফাজতের কোনো সম্পর্ক নেই।এতে বলা হয়, গত পয়লা মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে হাসিনার কুশপুত্তলিকাটি ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয় মর্মে এমন সংবাদ একটি প্লাটফর্মের ফেসবুক পেইজে নিউজ আকারে পাওয়া যায়। এতে বোঝা যায়, জুলাইর যোদ্ধা শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদস্বরূপ কুশপুত্তলিকাটি আগেই সেখানে ঝুলিয়ে রেখেছিল।বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাটির সাথে হেফাজতকে জড়িয়ে নারীর প্রতি বিদ্বেষ আকারে যারা অপপ্রচার করছে, তারা জুলাই বিপ্লবের শত্রু আওয়ামী দোসর ছাড়া আর কিছু নয়। মূলত গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতি সাধারণ জনতার ক্ষোভ হিসেবেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। এছাড়া নারীর প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ আমরা সমর্থন করি না।এতে আরও বলা হয়, ৩ মের মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন ও প্রচারণা চালানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। হেফাজত নারীর সম্মান মর্যাদা ও ন্যয্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। হেফাজত নেতা–কর্মীরা নারীর অসম্মান হয় এমন কাজ করতে পারে না।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট পন্থায় আমাদের দমন করার বাসনা থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে সবসময় নারীবিদ্বেষের অপপ্রচার চালায় উগ্র সেক্যুলার গোষ্ঠী। আমরা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ এবং আমাদের দেশের স্বকীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের আলোকেই আমাদের নারীসমাজের উন্নয়ন ও সংস্কার চাই। আধুনিক ব্যবস্থায় যেসব কারণে নারী নিগ্রহের শিকার হয়, সেসবও আলোচনায় আসতে হবে। বর্তমান নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন আমাদের ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের কোনো ধরনের প্রতিনিধিত্ব করে না। এমনকি বিজ্ঞ আলেম-ওলামার কাছ থেকেও কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি।
Post a Comment