খুলনার বাগমারা এলাকায় চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একজন গুলিবিদ্ধ ও তিন জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল আজিজকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। অপরদিকে, এ ঘটনায় আব্দুল আজিজের পিতা খলিল শেখ থানায় আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম জানান, শুক্রবার রাতে বাগমারা এলাকার ‘শিরিনা ষ্টোর’ মুদি খানার দোকান চুরি হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। তাদের কাছ থেকে চোরাই মালও উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আজ বাগমারা হরিনটানা ব্রিজ এলাকায় এসে এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে। পরে এলাকাবাসীও তাদের ওপর হামলা করে।হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম আরও জানান, সংঘর্ষের সংবাদ শোনামাত্র খুলনা সদর থানা ও লবনচরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা চেষ্টা করে দুই পক্ষকে শান্ত করে। তারপরও আব্দুল আজিজ নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে জানা গেছে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আব্দুল আজিজের মা নিলুফা বেগম ও ওই এলাকার সিরাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মো. নজরুল ইসলাম আহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।গুলিবিদ্ধ আব্দুল আজিজের মা আহত নিলু বেগম জানান, দা ও লাঠি সোটা নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করে। এসময় তার ছেলেকে গুলি করা হয়। তিনিও মাথায় আঘাত পেয়েছেন।আহত শহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুল আজিজ চা খাচ্ছিল। তার সাথে প্রশাসনের একজন লোকও ছিল। এসময় তিন-চারটা মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে আব্দুল আজিজকে মারধর করে। পরে প্রশাসনের ওই লোক ও এলাকাবাসী এসে ওদের ঠেকিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে সদর ও লবনচরা থানার দুই গাড়ি পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। পরে দুর্বৃত্তরা দলবদ্ধ হয়ে এসে এলাকাবাসী ও পুলিশের ওপর হামলা করে। তখন তারা আব্দুল আজিজকে গুলি করে। তখন এলাকাবাসী ওদের প্রতিহত করে।ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল আজিজের পিতা খলিলুর শেখ থানায় বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ওসি আরও জানান, আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Post a Comment