রিয়াজ-ফেরদৌস-চঞ্চলসহ ১৪ শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা, এজাহার থেকে যা জানা গেল

 


জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় রাজধানীর সরকারি আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিনেতা রিয়াজ, ফেরদৌস, চঞ্চল চৌধুরী ও মামুনুর রশীদসহ ১৪ শিল্পীকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।


মামলার অন্য শিল্পীরা হলেন, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার, আশনা হাবীব ভাবনা, সোহানা সাবা, রোকেয়া প্রাচী, অভিনেতা জায়েদ খান ও সাজু খাদেম।

এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ২০১ জনকে আসামি করা হয়েছে। 


শিক্ষকদের মধ্যে জাফর ইকবাল, জবির সাবেক ভিসি মিজানুর রহমান, মুনতাসির মামুনসহ ১৩ জনের নাম রয়েছে। এ ছাড়া ইমরাম এইচ সরকার ও লাকী আক্তারেরও এ মামলার আসামি হিসেবে নাম রয়েছে।


এর আগে, গত ২০ মার্চ এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এই ঘটনার শাহবাগ থানায় আর কোনও মামলা আছে কি না, সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময়ে গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরিবাগ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছান। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ভিকটিম ও তার সঙ্গীদের গতিপথ রোধ করে। 


আসামিরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিসের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে ভিকটিমের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়িলে অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করতে থাকে।


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post